খাল বেয়ে ছোট নৌকোয় চেপে ব্রিটেনে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চলেছেন ঋষি সুনাক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এমন এক নতুন আইনের বিবরণ দিয়েছেন, যা বেশ কিছু দাতব্য সংস্থাকে নিষিদ্ধ করতে পারে। পাশাপাশি, হাজার হাজার প্রকৃত শরণার্থীকে অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্তও করতে পারে। ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে নৌকোয় চেপে আসা শরণার্থীর সংখ্যা গত বছর ৫০০% বেড়েছে। গতবছর সংখ্যাটা ছিল ৪৫,০০০।
এরপরই অনাহূত শরণার্থীদের ব্রিটেনে প্রবেশ ঠেকাতে তৎপরতা বাড়িয়েছেন সুনাক। তিনি ব্রিটেনের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যে প্রধান পাঁচটি রাস্তা নিয়েছেন, তার মধ্যে শরণার্থীদের ঠেকানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী, এই খালপথে যাঁরা ব্রিটেনে ঢুকবেন, তাঁদেরকেই হয় স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে। নতুবা, তৃতীয় কোনও নিরাপদ দেশে পাঠানো হবে। মোদ্দা কথা, ওই সব শরণার্থীদের কিছুতেই ব্রিটেনে আশ্রয় দেওয়া হবে না।
শরণার্থী নিয়ে ক্ষোভ গত দশকে ব্রিটেনে ব্যাপকহারে বেড়েছে। যা ইতিমধ্যে ব্রিটিশ রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে সুনাকের রক্ষণশীল দলের ধারণা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর ফলে, রক্ষণশীলদের প্রতি ব্রিটিশদের আস্থা ফিরতে পারে। ইতিমধ্যে এনিয়ে সমীক্ষাও চালিয়েছে রক্ষণশীলরা।
সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এমন কঠোর আইন আনতে পারলে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির চেয়ে রক্ষণশীল বা কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা অনেকটাই বাড়বে। ব্রিটেনের এই নতুন পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে রাষ্ট্রসংঘও। এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, তারা এই আইনের প্রস্তাব সম্পর্কে 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'। কারণ, এই আইনে জনসাধারণে আশ্রয়ের অধিকারকে অস্বীকার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসংঘে কায়দা করতে গিয়েছিলেন বিলাওয়াল, পাকিস্তানের থোতা মুখ ভোঁতা করল ভারত
তা সেই আশ্রয়ের দাবি ব্যক্তিবিশেষে ঠিক হতে পারে, আবার বেঠিক হতে পারে। সেদিকে নজর না-দিয়েই অস্বীকার করা হয়েছে আশ্রয়ের দাবি, আশ্রয়ের অধিকার। তার মধ্যে আবার সুনাককে উসকে দিয়েছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। তারা ধুয়ো তুলে বলেছে, সুনাক নাকি কিছুতেই এই আইনের মাধ্যমে শরণার্থীদের ব্রিটেনে প্রবেশ আটকাতে পারবেন না।