কোভিড সংক্রমণের জেরে ভারতীয়দের প্রবেশ নিষিদ্ধ নিউজিল্যান্ডে। একই কারণে এবার প্রস্তাবিত ভারত সফর ছোট করতে উদ্যোগ নিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বুধবার এই খবর দিয়েছে ইউকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট। চলতি মাসের শেষে বহু প্রতীক্ষিত ভারত সফরের সূচি রয়েছে জনসনের। ইন্দো-ইউকে বানিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত করা, এই সফরের অন্যতম উপলক্ষ্য।
এর আগে চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় ইউকে-তে ব্রিটেন স্ট্রেনের বাড়বাড়ন্তে সেই সূচি স্থগিত করেন জনসন।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে এই প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুতের স্বার্থে কোনও কমনওয়েলথ দেশের সফরে আসছেন বরিস। ২৬ এপ্রিল ভারতে আসছেন বরিস। সেই দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা জনসনের। নতুন সূচি উল্লেখ করে এমনটাই প্রধানমন্ত্রীর দফতর সুত্রে খবর। ৩ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরবেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে বরিসের মুখপাত্র বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে কী ভাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর হবে, সে বিষয়ে আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। সংক্রমণের কারণে প্রধানমন্ত্রী নিজের সফরে কাটছাঁট করেছেন।’ বরিসের ভারত সফরে কবে কী বৈঠক হবে, সেই বিষয়ে অবশ্য এখনও ভারত বা ব্রিটেন কারও তরফেই কিছু জানানো হয়নি। পুরো সফর সূচি ঠিক হলে তারপরেই হয়তো তা জানানো হবে।
এর আগে লন্ডনে জলবায়ু সংক্রান্ত বৈঠকে গিয়ে বরিসকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’দেশের মধ্যে এই বৈঠকে বেশ কিছু মউ চুক্তি হতে পারে। ব্রিটেন সরকারের তরফে ভারতে বড় বিনিয়োগ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।