অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চপার দুর্নীতি মামলার মধ্যস্থতাকারী মিশেল জেমসের কনস্যুলার অ্যাকসেস পাওয়ার আর্জি জানাল ব্রিটিশ হাই কমিশন। মিশেলের কনস্যুলার অ্যাকসেস পাওয়ার আর্জি পাঠানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রকে। এদিন সেই আর্জি পৌঁছেছে সিবিআই দফতরেও। দুবাই থেকে এ দেশে প্রত্যর্পণের পর ক্রিস্টিয়ান মিশেল জেমসকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। এরপরই তাঁর কনস্যুলার অ্যাকসেসের আর্জি জানায় ব্রিটিশ হাই কমিশন।
এ প্রসঙ্গে, এক সিবিআই আধিকারিক জানিয়েছেন যে, মিশেলের কনস্যুলার অ্যাকসেসের আর্জি তাঁরা গ্রহণ করেছেন। তবে তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন রয়েছে কিনা তার আইনি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ওই সিবিআই আধিকারিক বলেন, ‘‘ছাড়পত্র মিললেই কয়েকদিনের মধ্যেই মিশেলের কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন, অগুস্তা মামলার মধ্যস্থতাকারীকে হাতে পেল সিবিআই
মিশেলের কনস্যুলার অ্যাকসেসের আর্জি প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাভীশ কুমার বলেছেন, ‘‘ব্রিটিশ হাই কমিশন থেকে আমরা কনস্যুলার অ্যাকসেসের আর্জি পেয়েছি। গোটা বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা শীঘ্রই এ নিয়ে ব্রিটিশ হাই কমিশনকে জানাব।’’
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের প্রাক্তন সিইও ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর চুক্তি নিয়ে মিশলকে জেরা করা হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর ভারত সফরের সময় দিল্লি ও মুম্বইয়ের কাদের সঙ্গে তিনি দেখা করেছিলেন, সে নিয়েও জেরা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুবাই থেকে প্রত্যর্পণের পর মিশেলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড মামলার মধ্যস্থতাকারী। অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড দুর্নীতি মামলায় মিশেলকে হেফাজতে চেয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানানো হয় যে, শুধুমাত্র প্রমাণের জন্য নয়, এই মামলায় কারা জড়িত ও টাকার লেনদেন কীভাবে হয়েছে, তা বিশদে জানতেই তারা মিশেলকে হেফাজতে চায়।
মিশেলকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। যদিও শেষ পর্যন্ত ৫ দিনের জন্য তাঁকে নিজেদের হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চুক্তিতে ওই সংস্থার সঙ্গে ঘুষের লেনদেন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে মিশেলের বিরুদ্ধে।
Read the full story in English