রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনের প্রাসাদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। দুটি মানববিহীন ড্রোন দিয়ে ওই হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট তাঁর ক্রেমলিনের বাসভবনে ছিলেন না। রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবনের নিরাপত্তায় রয়েছে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা। তার সাহায্যে ওই ড্রোনগুলোকে রুখে দিয়েছে রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী।
ফলে ড্রোনগুলো রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবনের তেমন কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। কিন্তু, এই ঘটনার জেরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। যার জেরে ফের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া বড় আকারের হামলা চালাতে পারে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। এই ঘটনা সম্পর্কে ইউক্রেন সরকার অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
রাশিয়ার তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'দুটি মনুষ্যবিহীন আকাশযান ক্রেমলিনকে নিশানা করেছিল। রাডার ওয়ারফেয়ার সিস্টেম ব্যবহার করে সামরিক এবং বিশেষ পরিষেবার দ্বারা সময়োপযোগী পদক্ষেপের সাহায্যে ডিভাইসগুলোকে নিষ্ক্রিয় করা গিয়েছে। তার টুকরো ক্রেমলিনের প্রাসাদে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এটা একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। গোটা রাশিয়া বর্তমানে ৯ মে-এর বিজয় দিবসের প্যারেড নিয়ে ব্যস্ত। সেখানে কোন কোন বিদেশি অতিথি আসবেন, তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে। তার মধ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে'
রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ঘটনার সময় ক্রেমলিনে ছিলেন না। তিনি মস্কোর বাইরে তাঁর নভো ওগারিওভোর বাসভবনে ছিলেন। রাশিয়ান সোশ্যাল মিডিয়াতে অবশ্য ড্রোন হামলার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে ওই হামলার পর ক্রেমলিনের প্রাসাদের প্রাচীরের কমপ্লেক্সের পিছনে ফ্যাকাশে ধোঁয়া উঠছে।
আরও পড়ুন- চার্লস ৩য়-র রাজ্যাভিষেক, কেমন ব্যবস্থার আয়োজন হচ্ছে ব্রিটেনে?
গত ১৪ মাস ধরে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সংঘর্ষ চলছে। সেই সংঘর্ষে উভয়পক্ষেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই হামলার অভিযোগ রাশিয়াকে সেই সংঘর্ষের জন্য ন্যায্য ভিত্তি দিল। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারণা, এরপর ইউক্রেনে বড়সড় হামলা চালাতে চলেছে পুতিনের সেনাবাহিনী।