Advertisment

জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন না কেন, পুতিনকে প্রশ্ন মোদীর

ভারতীয়দের ইউক্রেন থেকে সরানো নিয়ে আলোচনা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Modi Putin talk Russia says Kyiv holds students hostage

ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা প্রধানমন্ত্রীর মোদীর।

রাশিয়ার হামলাকে ভারত সমর্থন করে না। দীর্ঘদিনের বন্ধু দেশ। তাই রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরোধিতা করতে পারছে না। এই পরিস্থিতি থেকে ইউক্রেনে শান্তি চায় ভারত। এজন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি সরাসরি কথা বললে সবচেয়ে ভালো হত। এতে উভয়পক্ষের ভুল বোঝাবুঝি মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে। হয়তো বা এতে ইউক্রেনে শান্তি ফিরবে। এটাই ভারতের আশা। সোমবার দিল্লি থেকে ফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলার সময় কার্যত ভারতের এই অবস্থানই তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisment

৫০ মিনিট কথা বললেন। পুতিনের কথা শুনলেন। বললেন, নিজের কথাও। ইউক্রেন তো আগে থেকেই বলছে শান্তি চায়। মোদীকে মধ্যস্থতা করতেও বলেছিলেন। সেই মধ্যস্থতাই যেন সোমবার দেখল ভারত। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা এখনও ফিরতে পারছে না। তাদের জন্য সেফ করিডোর নেই। যেখান দিয়ে পড়ুয়াদের বের করার চেষ্টা হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে গোলা আছড়ে পড়ছে। সব জায়গাতে একই হাল। বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন জেলেনস্কিকে। সাহায্য চেয়েছেন। ৩৫ মিনিটের কথায় জেলেনস্কি জানিয়েছেন, দোষ তো রাশিয়ার। ইউক্রেন তো হামলা করেনি। হামলা তো করেছে রাশিয়াই।

এবার তাই জেলেনস্কির ফোন রেখে পুতিনকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কীভাবে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা সেখান থেকে বেরোতে পারবে? ওই পড়ুয়াদের কী অপরাধ ? কেন তাঁরা ইউক্রেন থেকে বেরোতে পারবেন না ? সমগ্র ভারতবাসীর সেই প্রশ্নই পুতিনকে ছুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। পুতিন আবার দায় নিতে চাননি। যাবতীয় দোষ চাপান ইউক্রেনের ঘাড়ে। দাবি করেন, ইউক্রেনের জন্যই রাশিয়া যুদ্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ, রাশিয়ার কাছে বিকল্প ছিল না। ইউক্রেন যেভাবে ন্যাটোপন্থী হয়ে পড়েছে, তার জন্যই রাশিয়া যুদ্ধে বাধ্য হয়েছে।

আরও পড়ুন- ২০ বছর অটো চালিয়েছেন, এবার কুম্ভকনম চালাবেন মেয়র সরভানাম

তাহলে, এই শান্তি ফেরানোর জন্য বৈঠকের অর্থ কী? ইউক্রেন আর রাশিয়া, দুই দেশই প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলছেন। শান্তি বৈঠক করছেন, এর অর্থ কী? সমস্যা যদি মেটাতেই চান, তাহলে তো পুতিন নিজেই জেলেনস্কিকে ফোন করতে পারেন। জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলতে পারেন! এতে সমস্যা কোথায়? যে কোনও বাস্তববাদী মানুষ যে প্রশ্ন তুলবে, সোমবার সেই প্রশ্নই প্রধানমন্ত্রী তুললেন প্রবল প্রতাপশালী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে। সোজা বুঝিয়ে দিলেন, ভারত যুক্তিবাদী। স্বৈরতন্ত্র বা কোনও দেশের গণতন্ত্রে হামলার সমর্থক নয়। তা যতই রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব থাক না-কেন, যুক্তির ওপর, নীতির ওপর নির্ভর করেই আগামীর পথ ঠিক করে নেবে নয়াদিল্লি।

Read story in English

modi Putin
Advertisment