রুশ বাহিনীর পশ্চাদপসরণের পর খেরসনে প্রবেশ করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। আর, তাঁদের স্বাগত জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মার্চ থেকে খেরসন দখল করে রেখেছিল রুশ সেনা। গত শুক্রবার এই অঞ্চলের দখল নেয় ইউক্রেনের বাহিনী। এই দখলের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, খেরসন শহরই খেরসন-ওবলাস্ট অঞ্চলের প্রশাসনিক অঞ্চল। যা নয় মাস পর রাশিয়ার দখলমুক্ত করল ইউক্রেনের বাহিনী। সেই শহরে ইউক্রেনের সেনার প্রবেশের পর স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে এসে তাঁদের স্বাগত জানান।
জয়ের পর স্থানীয় বাসিন্দারা যেভাবে ইউক্রেনের সেনাকে স্বাগত জানিয়েছেন, তার প্রশংসা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, 'আজ এক ঐতিহাসিক দিন। আমরা খেরসন দখলমুক্ত করলাম।' বন্দর শহর খেরসন রুশ বাহিনীর হাত থেকে চলে যাওয়ায়, এই যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয় কার্যত স্পষ্ট হয়েছে। এমনটাই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও রুশ বাহিনীর একাংশের দাবি, কৌশলগত কারণেই রাশিয়া তার বাহিনী খেরসন থেকে প্রত্যাহার করেছে। এক্ষেত্রে সামরিক শক্তিকে সংহত করে হামলা চালানোই রাশিয়ার লক্ষ্য বলে ওই সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
তার মধ্যেই জনগণের মনোভাব স্পষ্ট হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা ইউক্রেনের সেনাকে স্বাগত জানানোয়। প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, বাসিন্দারা ইউক্রেনের সেনাকে অভিবাদন জানাচ্ছেন। তাঁদের নিয়ে উল্লাস করছেন। ইউক্রেনের পতাকা নাড়াচ্ছেন। এই সব দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন- আদিবাসী মন পেতে দিলীপ সিং জুদেওয়ের মূর্তি উদ্বোধন ভাগবতের, কে তিনি?
শীতের মরশুমে চন্দ্রমল্লিকা এই অঞ্চলে ঘরে ঘরে দেখা যায়। প্রকাশিত ভিডিওগুলোয় দেখা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের হাতেই চন্দ্রমল্লিকার তোড়া। নেটিজেনরা সেই সব ভিডিওর কমেন্টে লিখেছেন, 'ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর এই লড়াইয়ে যে সাধারণ নাগরিকরাও পাশে আছেন, এই সব ভিডিওই তার প্রমাণ। যা বুঝিয়ে দিচ্ছে, রুশ সেনা যতই দখলে রাখুক, স্বাধীনতাকামী ইউক্রেনবাসী তাঁদের দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে দিতে নারাজ।' তার মধ্যে একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, খেরসনের বাসিন্দা ইউক্রেনের এক সেনা জওয়ান তাঁর ঠাকুমা ও ঠাকুরদার সঙ্গে পুনরায় দেখা হওয়ায় কোলাকুলি করছেন।
Read full story in English