অবশেষে উমর খালিদের দাবিতেই সিলমোহর দিল পুলিশ। গত সপ্তাহে দিল্লির রফি মার্গে জেএনইউ ছাত্রনেতা উমর খালিদের উপর হামলার ঘটনায় গুলি চলেছিল বলে এবার জানাল পুলিশ। সেদিনের হামলায় গুলি চালানো হয় বলে দাবি করেন উমর খালিদ। কোনওরকমে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় বলে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে শেষপর্যন্ত খালিদের দাবিকেই মান্যতা দিল দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ঘটনাস্থল থেকে যে পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়েছে, তা থেকে একটি গুলি । গুলির খোল দেখে আন্দাজ করা গিয়েছে যে, পিস্তল থেকে গুলি বেরিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ডিসিপি(স্পেশাল সেল) মণীষী চন্দ্র বলেন যে, বন্দুকের শেষপ্রান্তে গুলির খোলের চিহ্ন মেলেছে, যা দেখে আন্দাজ করা যায় যে, গুলি বেরিয়েছিল।
তবে শূন্যে গুলি চালানো হয়েছিল নাকি মাটিতে পিস্তলটা পড়ে যাওয়াতে গুলি বেরিয়েছে, এ নিয়ে এখনও নিশ্চত নয় পুলিশ। অন্যদিকে, উমর খালিদের উপর হামলার ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত নবীন দালাল দাবি করেছে যে, সে গুলি চালায়নি। তবে পিস্তল মাটিতে পড়ে যাওয়াতে গুলি বেরিয়ে থাকতে পারে বলে জেরায় নবীন জানিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জেরায় নবীন একথাও জানিয়েছে যে, তার নিরাপত্তার জন্যই সে নিজের কাছে পিস্তল রেখেছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ফোন থেকে ওই ভিডিও রেকর্ড করেছিল ধৃতরা, সেটি গুরগাঁওয়ে একটি চলন্ত বাসে তারা ছুড়ে দিয়েছিল। সেই ফোনটি ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১৩ অগাস্ট কনস্টিটিউশন ক্লাবে আসার জন্য যে বাইকটি ব্যবহার করেছিল নবীনরা, সেই বাইকটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বাইকটি শাহপুরের প্রতিবেশীর বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, গৌরী লঙ্কেশ হত্যাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য: বুদ্ধিজীবীদের খুন করতে ২২ জনকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ
হামলার পরে খালিদ বিবৃতি দিয়ে জানায় যে, অভিযুক্ত তার দিকেই পিস্তল তাক করেছিল, কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে শূন্য গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনা নবীনের পাশাপাশি দরবেশ শাহপুর নামের এক যুবককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত এ হামলার দায় নিজেরা স্বীকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে ধৃতরা। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে উপহার হিসেবে খালিদের উপর হামলার চেষ্টা করেছিল বলে ওই ভিডিওতে দাবি করেছে ধৃতরা। আত্মসমর্পণের কথাও বলেছিল ধৃতরা। গত সোমবার হরিয়ানার ফতেহাবাদ থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।