মানবাধিকারের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’-র জন্য ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখিয়ে বিক্ষোভরত কৃষক এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘ন্যায়সঙ্গত সমাধান’-এর বার্তা দিল রাষ্ট্রসংঘ।
'ভারতে এখন যে কৃষক বিক্ষোভ চলছে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিক্ষোভকারীদের সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আর্জি জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ জমায়েত এবং সবার মতপ্রকাশের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে। সবার মানবাধিকারের নীতিতে পর্যাপ্ত শ্রদ্ধা বজায় রেখে ন্যাসঙ্গত সমাধান বের করা গুরুত্বপূর্ণ।' শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনারের কার্যালয়ের তরফে একটি টুইটবার্তায় এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, জমায়েতের স্বাধীনতা এবং অহিংসা শ্রদ্ধা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
এতদিন কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিভিন্ন বার্তা আসছিল। এবার আসরে নামল রাষ্ট্রসংঘ মানবাধিকার দফতর। যা আন্তর্জাতিক কূটনীতির প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
দেশে গণ্ডি ছাড়িয়ে আপাতত বিশ্বেও আলোচনায় ভারতের কৃষক আন্দোলন। আমেরিকা থেকে ব্রিটেন এ স্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। রিহানা গ্রেটার থুনবার্গের টুইট ঘিরেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ দেশের বহু সেলিব্রেটিই কৃষক আন্দোলনকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে সরব হয়েছেন।
উল্লেখ্য, নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত দু'মাসের বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমানায় কৃষখ বিক্ষোভ চলছে। কেন্দ্রীয় াইনকে কৃষক বিরোধী বলে দাবি করেছেন প্রতিবাদীরা। উল্টোদিকে এই আইনকে কৃষক স্বার্থবাহী বলে তা বাতিলে নারাজ মোদী সরকার। এর মাঝেই সমাধান সূত্রে খুঁজতে একাধিকবার কৃষক-কেন্দ্র বৈঠক হয়। কিন্তু সমাধান অঘধরাই থেকে গিয়েছে।
কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে কৃষকরা ট্রাক্টর ব়্যালি, চাক্কা জ্যামের মত কর্মসূচি নিয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর ব়্যালি ঘিরে রাজধানীতে অশান্তি ছাড়য়। লালকেল্লায় তাণ্ডব হয়। কাঠগড়ায় তোলা হয় কৃষকদের। যদিও ওই তাণ্ডবকে কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে কৃষক সংগঠনগুলো। এরপর আইন-শৃঙ্খলা অবনতির দোহাই দিয়ে কংক্রিটের ব্যারিকেড, লোহার পেরেক বসিয়ে কৃষকদের জমায়েত ও আন্দোলন দমাতে চেষ্টা করছে কেন্দ্র। অভিযোগ প্রতিবাদীদের। বিতর্কের মাঝেই এবার কৃষক এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’-এর বার্তা দিল রাষ্ট্রসংঘ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন