গত বছরের শুরু থেকে করোনায় কাবু হয়েছিল ভারত। এরই মাঝে মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আমফানে তছনছ হয়েছিল দেশের পূর্ব প্রান্ত। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে আমফান ঝড়ের দাপটে প্রায় ১৪০ কোটি ডলার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ভারতের।
সোমবার প্রকাশিত ‘স্টেট অফ দ্য গ্লোবাল ক্লাইমেট ২০২০’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কোভিড -১৯ এর সঙ্গে সঙ্গে চরমতম আবহাওয়ার দাপট ভারতের কয়েক লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছিল। অতিমারী এবং লকডাউনে স্তব্ধ দেশে অর্থনৈতিক ক্ষতি চলছিলই। এরি মাঝে আমফানের জেরে ক্ষতির কফিনে যেন শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয়।
La Nia ইভেন্ট জানায় যে ২০২০ সাল রেকর্ড উষ্ণতম বছর হিসেবে গণ্য হয়েছে। বিশ্বের গড় তাপমাত্রা প্রায় ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে। World Meteorological Organization-এর একটি রিপোর্ট প্রকাশের সময় রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটরি আন্তোনিও গুতেরাস বলেন, "এই রিপোর্টটি অত্যন্ত ভীতিপ্রদ। এটি বিশ্বের সমস্ত নেতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের পড়া উচিত। ২০২০ সাল এক অভূতপূর্ব বছর ছিল। কোভিড আধিক্য ছিল। কিন্তু জলবায়ুর এমন চরম পরিবর্তন কিন্তু আরেকটি বিপর্যয়ের ইঙ্গিত।"
আরও পড়ুন, “সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ ভারত”!
রিপোর্টে ঘূর্ণিঝড় আমফানকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, "ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলি থেকে অনেক মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ফলে প্রাণহানি কম হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি আটকানো যায়নি। তা সত্ত্বেও, দু'দেশেই ১২৯ প্রাণ হানি হয়েছে। প্রায় ২ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
প্রতিবেদনে এও বলা হয়, ১৯৯৪ সালের পর বর্ষার রূপ ২০২০ সালেই প্রকট হয় ভারতে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৯ শতাংশ বেশি ছিল। ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা এবং ভূমিধসও আশেপাশের দেশগুলিকে প্রভাবিত করেছিল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন