হাড়হিম খুন! আইফোন হাতে পেতে ফ্লিপকার্ট ডেলিভারি এজেন্টকে নারকীয় খুন। এর পর পেট্রোল পুড়িয়ে ফেলা হয় মৃতদেহ। ঘটনা ঘিরে হুলস্থূল। আইফোন ডেলিভারি করতে এসে, বছর ২০-এর এক ডেলিভারি বয়কে খুন হতে হল গ্রাহকের হাতে। কর্ণাটকের হাসান জেলার এই ঘটনা ঘিরে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আইফোন নেওয়ার মত পর্যাপ্ত টাকা ছিল না গ্রাহকের কাছে। কিন্তু আইফোন হাতে পাওয়ার লোভ ছাড়তে পারেনি হেমন্ত দত্ত। মুহূর্তেই মাথায় আসে এক 'আইডিয়া'। খুন করে আইফোন হাতিয়ে নিয়ে ডেলিভারি এজেন্টের মৃতদেহ ঘরের ভিতর টেনে নিয়ে গিয়ে একটি ব্যাগে ভরে রেখে দেয় সেই মৃতদেহ। ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে। জেরায় পুলিশ জেনেছে ডেলিভারি বয়কে ছুরিকাঘাত করে হেমন্ত। এর জেরে মৃত্যু হয় ডেলিভারি এজেন্টের। মুহূর্তেই দেহ লোপাট করতে ব্যাগে ভরে ঘরের কোণে লুকিয়ে রাখে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি।
অর্ডার দেওয়ার পর আইফোনের জন্য পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় অভিযুক্ত ডেলিভারি বয়কে ছুরিকাঘাত করে। হাসান জেলার লক্ষ্মীপুরমের বাসিন্দা হেমন্ত দত্ত ফেব্রুয়ারির শুরুতে ফ্লিপকার্টের মাধ্যমে আইফোনের অর্ডার দেন। হেমন্ত নায়েক নামের বছর ২০-এর ,ই-কমার্স ডেলিভারি এজেন্ট গত ৭ই ফেব্রুয়ারি ফোনটি ডেলিভারি করতে অভিযুক্তের বাড়িতে আসেন বলেই তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এরপর মোবাইল ফোনের সিল খোলা নিয়ে উভয়ের মধ্যেই বচসা শুরু হয় এবং তখনই ডেলিভারি এজেন্টকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলেই নায়েকের মৃত্যু ডেলিভারি এজেন্টের। এরপর মৃতদেহটি একটি ব্যাগে ভরে বেশ কিছুদিন বাড়ির ভিতরই লুকিয়ে রাখেন তিনি। দুদিন পর, তিনি সেই ব্যাগটি পাশের রেললাইনের ওপর ফেলে দেন। পরে পেট্রোল ঢেলে দেহটি পুড়িয়ে ফেলেন তিনি ।
দু'দিন খোঁজাখুঁজির পর ভাইয়ের সন্ধান না পেয়ে মৃতের ভাই মঞ্জু নায়েক পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতেই সামনে আসে নারকীয় এই হত্যাকাণ্ড। শনিবার পুলিশ রেললাইন থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সব দিক খোলা রেখেই বিষয়টির তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।