বিহারে আগুয়ানিঘাট এবং সুলতানগঞ্জের মধ্যে গঙ্গা নদীর উপর একটি নির্মীয়মাণ সেতুর অংশ রবিবার ধসে পড়ল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন, সেতু ভেঙে পড়ার এই দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেছেন। সেতু ভেঙে পড়ার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সুলতানগঞ্জের সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ) বিধায়ক ললিতনারায়ণ মণ্ডল জানিয়েছেন যে সেতুটি নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ উদ্বোধন হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সেই নির্মীয়মান সেতুটি ভেঙে পড়ে। ডিডিসি ভাগলপুর কুমার অনুরাগ বলেছেন, 'আমরা সেতু নির্মাণ নিগমের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছি।'
সেতু ধসের প্রতিক্রিয়ায়, বিহারের বিরোধী দলনেতা বিজয়কুমার সিনহা, কড়া সমালোচনা করেছেন নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকারের। সিনহা বলেছেন, 'কমিশন খাওয়ার একটা ঐতিহ্য আছে। এই মানসিকতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতারই পরিণতি হলো প্রশাসনিক নৈরাজ্য এবং দুর্নীতি। ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। কিন্তু, তারপরও তারা বিরোধী ঐক্যের কথা বলছে।'
২০২২ সালে, বিহারের সুলতানগঞ্জ (ভাগলপুর) এবং খাগরিয়াকে সংযুক্তকারী গঙ্গার ওপর চার লেনের সেতুর কাঠামো সুলতানগঞ্জের প্রান্তে ভেঙে পড়েছিল। ৩.১ কিলোমিটার লম্বা সেতুটি ১,৭১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসপি সিংলা কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড নির্মাণ করছে।
সেই সময় প্রাথমিক তদন্তের পর ভাগলপুর প্রশাসন জানিয়েছিল যে প্রবল বাতাস এবং বৃষ্টির জেরে ১০০ ফুট লম্বা কাঠামোটি ধসে পড়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ওই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিহারের সড়ক নির্মাণ মন্ত্রী নীতিন নবীনও নির্মাণ সংস্থার কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য লোকসভা, বিজেপির হয়ে সভা করবেন ব্রিজভূষণ, ঘোষণা করেছেন তারিখও
বিহারে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ প্রথমে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাচ্ছিল। পরে, বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে নীতীশ রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর সঙ্গী হয়েছেন। এই নতুন সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ করে চলেছে বিজেপি। নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ায় গেরুয়া শিবির সেই হিসেবে নীতীশের বিরুদ্ধে মুখ খোলার আরেকটি অস্ত্র পেয়ে গেল।