Advertisment

দারিদ্র দূরীকরণে বিগত এক দশকে ভারতের যাবতীয় পদক্ষেপের প্রশংসা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ

একটি পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবন যাপনের মান, পুষ্টি, পানীয় জল, শিশুদের স্কুলে উপস্থিতির হার, জ্বালানি তেল, শৌচ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সব কিছুর ভিত্তিতে তৈরি করা হয় এমপিআই সূচক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

দারিদ্রের সূচক বলছে, গত এক দশকের (২০০৫-০৬ থেকে ২০১৫-১৬) মধ্যে ভারতে দারিদ্র্যের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর দারিদ্র মাপার একটি সূচক রয়েছে, যার পোষাকি নাম মাল্টিডাইমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স (এমপিআই)। তবে এই সূচক কিন্তু আয়ের ভিত্তিতে দারিদ্রকে পরিমাপ করে না। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবনযাপনের মান, সব বিচার করে সমীক্ষার ফলাফল বলছে এমপিআই সূচক অনুযায়ী আমাদের দেশে দারিদ্র্যের মাত্রা ৫৪.৭ শতাংশ থেকে কমে ২৭.৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।

Advertisment

রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসেব বলেছে গত দশ থেকে বারো বছরে চূড়ান্ত দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন, এমন মানুষের সংখ্যা ২৭ কোটি কমেছে। তবে এখনও ৩৬.৪ কোটি ভারতবাসী দিন গুজরান করেন অতিরিক্ত দারিদ্র্যের মধ্যেই। এই এত সংখ্যক মানুষের এক চতুর্থাংশই হল শিশু, যাদের বয়স দশ বছরেরও নীচে।

আরও পড়ুন: মোদির দীপাবলি উপহার প্রত্যাখ্যান দিল্লির অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের

বৃহস্পতিবার ইউএনডিপি-র পক্ষ থেকে ডিরেক্টর ফ্রান্সিন পিকাপ বলেন, "এক দশকে ভারতের দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে করা যাবতীয় পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।" জাতি ধর্মের নিরিখে সমাজে যারা প্রান্তিক ছিলেন কয়েক বছর আগে পর্যন্ত, তাদের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। ইউএনডিপি-র হিসেব সেরকমই বলছে। ডিরেক্টর পিকাপ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "ভারতের এই পদক্ষেপ 'টেকসই উন্নয়ন'-এর ধারণাকে সমর্থন করে, শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ'-মন্ত্রের সঙ্গেও সামঞ্জস্য পূর্ণ।

ইউএনডিপি-র রিপোর্ট যে সময়কে নির্দেশ করে, তার বেশিটাই ইউপিএ জমানা, তাই কৃতিত্ব দেওয়া উচিত তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকেই, দাবি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের। তিনি টুইট করে বলেন, "বিজেপি সব সমস্যায় 'উত্তরাধিকার' টেনে আনে, তাহলে মনে রাখা দরকার দেশের ২৭ কোটি গরিব মানুষকে তুলে ধরার পেছনেও নিশ্চয়ই উত্তরাধিকারের ভূমিকা থাকবে"।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একটি পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবন যাপনের মান, পুষ্টি, পানীয় জল, শিশুদের স্কুলে উপস্থিতির হার, জ্বালানি তেল, শৌচ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, সব কিছুর ভিত্তিতে তৈরি করা হয় এমপিআই সূচক। এই সব সূচকের নিরিখে বিচার করে দেখা গেছে সারা পৃথিবীর ১০৪টি দেশের মধ্যে ১৩০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করেন। এদের মধ্যে আবার ৪৬ শতাংশ মানুষের দারিদ্র কল্পনাতীত। এমপিআই সূচকের সবকটিতেই তারা বঞ্চিত। ভারতের যে অংশে এই অতিরিক্ত দারিদ্রের আধিক্য, তার মধ্যে রয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ। দিল্লি, গোয়া, কেরালায় দারিদ্র্যের পরিমাণ দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক কম।

United Nations
Advertisment