মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য, কোভিড লকডাউন পরবর্তীতে গ্রামীণ ভারতে হু-হু করে বেড়েছে বেকারত্ব। চাকরি খুইয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে দেশের তরুণ যুবসমাজ।
তথ্য বলছে ২০২০ সালে জানুয়ারি থেকে মার্চ এই প্রথম তিনমাসে গ্রামীণ ভারতে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। যা কোভিড লকডাউন পরবর্তীতে বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ১২.১ শতাংশ। 'দ্য ইন্ডিয়া ডিসক্রিমিনেশন রিপোর্ট’ অনুসারে সামনে এসেছে এই তথ্য। শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে এই হার আরও মারাত্মক।
প্রাক কোভিড কালে এই হার ছিল ৯ শতাংশের কাছাকাছি যা কোভিড পরবর্তীতে বেড়ে হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশের কাছাকাছি। প্রতিবেদন অনুসারে বলা হয়েছে, গ্রামীণ এলাকায়, বেকারত্বের সামগ্রিক হার ১০.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২২.২ শতাংশ। শহুরে এলাকায় এই হার আরও উদ্বেগজনক, ১৫ শতাংশ থেকে ৫০.৩ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে সমীক্ষায় দেখে গিয়েছে সংখ্যালঘু অথবা আদিবাসী সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে বেকারত্বের সামগ্রিক হার সাধারণ শ্রেণির চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি।
অক্সফামের প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে যে ২০২০ সালের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে পুরুষদের কর্মসংস্থান হ্রাসের মধ্যেও মহিলাদের কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হরিয়ানার, যেখানে বেকারত্বের হার ৩৪.৫ শতাংশে পৌঁছেছে, তারপরে রয়েছে রাজস্থান ২৮.৮ শতাংশ। বেকারত্বের হার বৃদ্ধির কারণ হল কাজের অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং মূল্যবৃদ্ধির কারণে অর্থনীতিতে পুনরুদ্ধারের হার খুবই কম।
আরও পড়ুন: < অগ্নিপথ নিয়োগ নিয়ে সেনাবাহিনীর কড়া চিঠির পরই তৎপর সরকার, সবরকম সাহায্যের আশ্বাস >
এর পাশাপাশি সরকারের জন্য বড় ধাক্কা। জুন মাসে দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে। জুন মাসে দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.।৮০ শতাংশে। কৃষি খাতে ১.৩ কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন, যার কারণে বেকারত্ব বেড়েছে। সিএমআইই তথ্য প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি , CMIE তথ্য অনুসারে, গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের হার জুন মাসে বেড়ে হয়েছে ৮.৩ শতাংশ। যা মে মাসে ছিল ৭.৩০ শতাংশ । শহরাঞ্চলে, পরিস্থিতি কিছুটা ভালো ছিল এবং বেকারত্বের হার ৭.৯ শতাংশে রেকর্ড করা হয়েছে, যা মে মাসে ছিল ৭.১২ শতাংশ। গত জুনে পরিসংখ্যান অনুযায়ী চাকরি কমেছে ১.৩ কোটি। বেকারত্ব বেড়েছে প্রায় ৩০ লাখ।