সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই) এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেকারত্বের হার ডিসেম্বরে বেড়ে হয়েছে ৮.৩ শতাংশ। যা ২০২২ সালে সর্বোচ্চ। নভেম্বর মাসে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৮ শতাংশ। যেখানে সেপ্টেম্বরে এটি ছিল সর্বনিম্ন ৬.৪৩ শতাংশ। সদ্যসমাপ্ত বছরে বেকারত্ব বৃদ্ধির নিরিখে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে ছিল আগস্ট মাস। ওই মাসে বেকারত্ব বেড়ে হয়েছিল ৮.২৮ শতাংশ। এমনটাই জানিয়েছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা সিএমআইই।
শুধু মাসের হিসেবই নয়। বেকারত্ব বৃদ্ধির নিরিখে গ্রাম ও শহরের মধ্যেও পার্থক্য করেছে সিএমআইই। তারা জানিয়েছে, বেকারত্ব বৃদ্ধির নিরিখে গ্রাম এবং শহরে বেকারত্বের হার কিন্তু ডিসেম্বরে সমান ছিল না। ২০২২ সালের শেষ মাসে শহরে বেকারত্বের হার ছিল ১০ শতাংশ। আর, গ্রামে এই হার ছিল ৭.৫ শতাংশ। আর, গোটা দেশে বেকারত্বের হিসেবে সব রাজ্যকে টেক্কা দিয়েছে বিজেপিশাসিত হরিয়ানা। সেখানে ডিসেম্বরে বেকারত্ব বেড়েছে সর্বোচ্চ ৩৭.৪ শতাংশ।
তারপরেই রয়েছে কংগ্রেসশাসিত রাজস্থান। সেখানে বেকারত্ব বৃদ্ধির হার ২৮.৫ শতাংশ। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে আম আদমি পার্টিশাসিত দিল্লি। সেখানে বেকারত্ব বেড়েছে ২০.৮ শতাংশ। তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে জেডিইউ ও আরজেডি শাসিত বিহার। নীতীশের রাজ্যে ডিসেম্বরে বেকারত্ব বেড়েছে ১৯.১ শতাংশ। পঞ্চম স্থানে আছে হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাশাসিত ঝাড়খণ্ড। সেখানে বেকারত্ব বেড়েছে ১৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন- ফের চিনের দাদাগিরি! ভারতের পর এবার জাপানের সীমানায় হানাদারি জিনপিঙের সেনার
এই তথ্য বিশ্লেষণ করে, টিমলিজ সার্ভিসেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী বলেন, 'বেকারত্ব নিয়ে সিএমআইইর রিপোর্ট একটি খারাপ খবর।' তিনি জানিয়েছেন যে এই রিপোর্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে যে কর্মক্ষেত্রে শ্রম শক্তির সংযুক্তি ধীরে ঘটতে চলেছে। যেমনটা চিন, ইউরোপ এবং উন্নত দেশগুলোয় ঘটেছে। এই পরিসংখ্যান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাজারের চাহিদার তুলনায় বেশ কম। তাই আরও বেশি কর্মসংস্থানের প্রয়োজন। আর, কাজের বাজারে সেই সব কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিফলনও প্রয়োজন।
Read full story in English