কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রত্যক্ষ কর কাঠামো অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে, আমদানি-রপ্তানি শুল্কে রদবদল হওয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় একাধিক দ্রব্যের দামের অদল বদল ঘটেছে। দাম ওঠা-নামার ক্ষেত্রে কোন জিনিসের কী দাম হল? কোনটার বাড়ল? কোনটার কমল? তা নিয়েই তুঙ্গে কৌতুহল।
এক নজরে দাম কমার তালিকায় রয়েছে কোনগুলি?
- মোবাইল
- মোবাইল ফোন
- কৃষি সরঞ্জাম
- পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক
- পোশাক
- হীরে এবং মূল্যবান রত্ন
- ইমিটেশনের গয়না
- জুতো
- চামড়ার ব্যাগ
- স্টিলের উপজাত দ্রব্য
দাম বৃদ্ধির তালিকায় কোনগুলি?
- বিদেশি ছাতা
- বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য সমুহ
কেন্দ্রীয় বাজেটকে উন্নয়নমুখী ভাবনার প্রতিফলন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ''এই বাজেট অর্থব্যবস্থাকে চাঙ্গা করবে, নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। সুবিধা পাবেন কৃষক সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষেরাও। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনীতির পরিকাঠামোও চাঙ্গা হবে। কৃষি ক্ষেত্রে স্টার্ট-আপে সাহায্য মিলবে। আধুনিকীকরণের দিকে এগোচ্ছে দেশ। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে বাজাটে।'
যদিও বিরোধী দলগুলি বাজাটের সমালোচনায় মুখর। কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, 'সরকার আগে বলেছিল ২০২২ সালের মধ্যে গরিবদের জন্য ৪ কোটি বাড়ি তৈরি করবে। এটা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে যে মাত্র ২ কোটি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এখন, তারা আরও ৮০ লক্ষ বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই এসব প্রতিশ্রুতিই ফাঁপা হয়ে যাচ্ছে। এই বাজেট ধনীদের জন্য। ধনীরাই এই সরকারের বন্ধু।'
তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'পেগাসাস থেকে নজর ঘোরাতেই এই বাজেট। এই বাজেটে মধ্যবিত্তের জন্য কিছুই নেই। তাঁরা প্রতিনিয়ত বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধির যাঁতাকলে পড়ছেন। নাভিশ্বাস উঠছে তাঁদের। সরকার বড় বড় কথা বলছে, কাজের বেলায় নেই।'' কেন্দ্রীয় বাজেটকে তুলোধনা মুখ্যমন্ত্রীর।'