বাজেট বক্তৃতা সরকারের ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি। বাজেটের বাইরে এটা নোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি। বুধবার এভাবেই মোদি সরকারকে তোপ দাগেন কপিল সিব্বল। এদিন বিজেপির প্রতি আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে সিব্বল বলেন, ‘মোদি সরকার কংগ্রেসকে বরাবর ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি নিয়ে আক্রমণ করেছে। কিন্তু নিজেরা বাজেট পেশের সময় ঠিক সেই কাজ করেছে। যে যে রাজ্যে বিধানসভা ভোট, সেই রাজ্যে পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ ঘোষণা করেছে।‘
এদিকে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত ছিল বিশেষ এক সংবাদ মাধ্যম।‘ সে বিষয়ে এদিন সংসদে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। তিনি বলেন, ‘কোনও সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এ বিষয়ে জানত না। সেখানে সংবাদ মাধ্যম কী ভাবে খবর পাবে?’
অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ‘আন্দোলনজীবী’ খোঁচাকে বুধবার কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন পি চিদম্বরম। এদিন টুইটে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি আন্দোলনজীবী হিসেবে গর্বিত। সবচেয়ে বড় আন্দোলনজীবী ছিলেন মহাত্মা গান্ধী।” সোমবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ভাষণে তিনি বলেন, ‘দেশে এখন নতুন ধরনের মানুষের উদয় হয়েছে। ওরা আন্দোলনজীবী। কখনও আইনজীবীদের আন্দোলনে এদের দেখা যায়। কখনও পড়ুয়াদের আন্দোলনে, কখনও বা শ্রমিকদের আন্দোলনে এদের দেখতে পাওয়া যায়। কখনও সামনে এসে এরা আন্দোলন করে, কখনও বা নেপথ্যে থেকে আন্দোলন করে। এরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছাড়া থাকতে পারে না। আমাদের এঁদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।
একুশের নির্বাচনের আগে নি:সন্দেহে বাংলার জন্য বড় ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা। দেশের যে রাজ্যেগুলিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সেই এলাকায় নয়া অর্থনৈতিক করিডরের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। এদের মধ্যে সড়ক-পরিবহন কাঠামো জোরদার করতে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সড়ক সংস্কারের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৬৭৫ কিলোমিটার অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে কলকাতা-শিলিগুড়ি সড়কের উন্নয়ন করা হবে।