মোদী সরকারের জমানায় কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকারের বারবার বিরোধ বেধেছে। মধ্যে তা নিয়ে তেমন একটা টানাপোড়েন চলেনি। এবার ফের সেই কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন, 'কলেজিয়াম ব্যবস্থা অস্বচ্ছ। অনেক বিচারপতিও এটা বিশ্বাস করেন। এতে সন্তুষ্ট না-হলেও সরকার বিকল্প ব্যবস্থা না-করা পর্যন্ত বর্তমান ব্যবস্থাতেই কাজ করতে হবে।' একইসঙ্গে রিজিজু বলেন, 'বিচার বিভাগেরও এক্ষেত্রে প্রবেশ করা উচিত না। তার সীমানা ছাড়ানো উচিত না। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ওপরই দেশ চালানোর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত।'
মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে রিজিজু বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময় তিনি বলেন, 'আমি বিচার বিভাগ ও বিচারপতিদের সমালোচনা করি না। আমি কেবল একটা সত্যিকে প্রকাশ করছি। যা আসলে দেশের সাধারণ মানুষেরই চিন্তার প্রতিফলন। আর, সেটা হল যে কলেজিয়াম ব্যবস্থা অস্বচ্ছ। এই ব্যবস্থা দেশবাসীর প্রতি দায়বদ্ধ নয়। বিচারপতি এবং আইনজীবীরাও একথা বিশ্বাস করেন।'
আইনমন্ত্রী বলেন যে সুপ্রিম কোর্ট ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশনকে (এনজেএসি) নিষেধ করার পরে, সরকার অন্য পদক্ষেপ নিতেই পারত। তবে, সরকার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে। সেই কারণেই বিকল্প উপায় খুঁজে বের করার কোনও চেষ্টা করেনি। কিন্তু, তার মানে এই নয় যে সরকার চিরকাল নীরব থাকবে।
আরও পড়ুন- গুজরাটে ব্যাপক চমক দিয়েছে আপ, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইসুদান গাদভি, কে তিনি?
রিজিজু আরও বলেন যে, 'ব্যক্তিদের মধ্যে যোগ্যতমকেই বিচারপতি পদে উন্নীত করা উচিত। কারণ কলেজিয়ামের বিচারপতিরা কেবল তাঁদের পরিচিত ব্যক্তিদেরকেই নিয়োগ করবেন। ২০১৫ সালে, সুপ্রিম কোর্ট ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশন আইনকে বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু, তারা জানায়নি, এর চেয়ে ভালো বিকল্প কী। বদলে তারা মনে করেছে যে পুরোনো কলেজিয়াম সিস্টেমটিই চালিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু, আমি এই সিস্টেমে সন্তুষ্ট নই।'
কলেজিয়ামের নিন্দা করলেও দেশের বিচারপতিদের প্রশংসা করেন রিজিজু। তিনি বলেন, 'অন্যান্য দেশের বিচারপতিদের তুলনায় ভারতে বিচারপতিদের অনেক বেশি পরিমাণ কাজ করতে হয়। প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৫০টি মামলার শুনানি করতে হয়।' এই বিপুল পরিমাণ কাজ করার জন্য বিচারপতিদের প্রশংসাও করেন রিজিজু। তিনি বলেন, 'বিচারপতিদেরও বিরতি প্রয়োজন।'
Read full story in English