Advertisment

‘বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই!’ অবস্থান স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

Power Crisis: গোটা দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন, সেই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কয়লার জোগান নেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Coal Shortage

Power Crisis: দিল্লিতে কোনও বিদ্যুৎ সঙ্কট নেই। রবিবার জানালেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিং। এদিন আধিকারিক, সচিব এবং বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। তারপরেই রীতিমতো সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই ঘোষণা তাঁর।তাঁর দাবি, ‘আমাদের সংগ্রহে আগামি ৩-৪ দিনের কয়লা মজুত রয়েছে। প্রতিদিন এভাবেই কয়লা মজুত বাড়ানো হয়। পাশাপাশি খনি এবং কয়লা মন্ত্রকের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি।‘

Advertisment

উল্লেখ্য সম্প্রতি দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামি দিনে ব্যাপক বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে রাজ্য। দেখা দিতে পারে ব্ল্যাক আউট। করোনার দ্বিতীয়ও ঢেউয়ের সময় অক্সিজেন উৎপাদনে ব্যাপক কয়লা ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে এখন কয়লা সঙ্কটে ব্যাহত বিদ্যুৎ উৎপাদন।    

সুত্রের খবর, গোটা দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন, সেই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কয়লার জোগান নেই। দেশে ১০৪টি থার্মাল প্লান্টের মত বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ১২৬.৮ গিগা ওয়াট। কিন্তু সেই প্লান্টগুলোতে কয়লার জোগান সঙ্কটজনক। এমনটাই সুত্রের খবর।

যদিও দিল্লি সরকারকে আশ্বস্ত করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন, ‘প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে দিল্লিকে। এবং আগামি দিনেও সেই সরবরাহ চলবে।‘ এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেছেন, ‘আগামি ৬ মাস পর্যন্ত কী হবে এখনই বলা যাচ্ছে না। সাধারণ ভাবে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বিদ্যুতের চাহিদা কমতে থাকে। ঠাণ্ডা পড়ার সঙ্গেই সেই চাহিদা আরও তলানিতে এসে পৌঁছয়।  

তিনি জানান, গেইল এবং টাটা পাওয়ারকে সতর্ক করা হয়েছে। তারা অকারণে আতঙ্ক তৈরি করছে। দেশব্যাপী এই মুহূর্তে কয়লার কোনও সঙ্কট নেই। দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।‘  

জানা গিয়েছে, প্রতি বছর বর্ষা পরবর্তী সময়ে চাহিদার সঙ্গে জোগানের ঘাটতি দেখা যায়। এই বছর এপ্রিল-জুন মাসে কয়লার চাহিদা ছিল তুঙ্গে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকস্তরে চাহিদা তুঙ্গে থাকায় কয়লা আমদানিতেও ছিল ভাঁটা। সেই সমস্যার প্রভাব পড়েছে আগামি দিনের কয়লা মজুতে। এমনটাই সুত্রের খবর।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

delhi Power Crisis Coal Shortage
Advertisment