দেশের বিমানভাড়া বৃদ্ধির জন্য বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলো কখনও দায়ী হতে পারে? শুনতে অবাক লাগলেও, এমন যুক্তিই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। শুনে অনেকে রসিকতা করে বলছেন, পুরীর জুড়ি মেলা ভার! তবে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যুক্তিও নেহাত ফেলনা বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ঠিক কী বলেছেন পুরী? বৃহস্পতিবার একটা টুইট করেছেন। তাতে লিখেছেন, 'কখনও ভেবে দেখেছেন কেন বিমানের টিকিটের দাম কমেনি? বিমান চলাচলের খরচের ৪০ শতাংশ লাগে জ্বালানি কিনতে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি বিমানের জ্বালানির ওপর বিশাল ভ্যাট বসিয়ে দিয়েছে।' একদিকে কেন্দ্রকে জ্বালানির দাম কমাতে বলছে। অন্যদিকে জ্বালানির ওপর বিপুল ভ্যাট বসাচ্ছে। এইভাবে বিরোধী শাসক দলগুলো মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে, ভন্ডামি করছে বলে অভিযোগ করেছেন পুরী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বল্পমূল্যে নাগরিকদের জন্য বিমান ভ্রমণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু, 'বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে' বলেই অভিযোগ করেন পুরী। তাঁর কথায়, 'বিরোধীরা তেলের দামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মিছিল করছে। আবার, নিজেদের কোষাগার ভরার জন্য জনগণকে শুষে নিচ্ছে।'
আরও পড়ুন- বড়সড় পরিবর্তন, মধ্যপ্রদেশের বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়লেন কমল নাথ
বিরোধীদের নিশানা করে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রীর তোলা সুর বুধবারই বেঁধে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলোকে পেট্রোপণ্যের ওপর ভ্যাট কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সহযোগিতা নীতি গ্রহণ করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে, বর্তমান বিশ্বে পেট্রোল আমদানির সমস্যার কথা মাথায় রাখারও আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলো শুধু নিজেদের জনগণের প্রতিই অবিচার করছে না। প্রতিবেশী রাজ্যগুলোরও ক্ষতি করছে।
পালটা অবশ্য মুখ খুলেছে পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্রও। এই দুই রাজ্য অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারই গোটা সমস্যার জন্য দায়ী। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলোর সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্র যদি পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেয়, তবে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোর চেয়েও পেট্রোপণ্যের ভ্যাট কম নেবে পশ্চিমবঙ্গ।
Read story in English