Mohan Bhagwat: সংঘের আদর্শ মানে ঐক্য এবং সৌভ্রাতৃত্ব এবং জাতীয়তাবাদ। সোমবার পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। কিন্তু গুমরাহি ব্রিগেড কুৎসা করে সংঘের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার করে চলে। এভাবেও এদিন অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী।
দিন কয়েক আগেই সংঘ প্রধান বলেছেন, ‘গো-রক্ষার নামে যারা মুসলিম নির্যাতন করে, তাঁরা হিন্দু নয়। যারা বলেন মুসলিমরা এদেশের নয়, তাঁরাও হিন্দু নয়।‘ এরপরেই এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয় কংগ্রেস এবং এআইএমআইএম।
সেই সমালোচনার জবাব দিতেই এদিন সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘অতীতেও নিজেদের কাজের মধ্যে দিয়ে আরএসএস একাধিক জনকল্যাণমূলক কাজ করেছে। সমাজকে একসূত্রে বেঁধে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু গুমরাহি গ্যাং, শুধু দেশের নয়, দেশের বাইরেও এই ভ্রাতৃত্ববোধ ভাগতে চক্রান্ত করেছে। সংঘের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার করেছে।‘ এদিকে, আরএসএস-এর সংখ্যালঘু শাখার সম্মেলনে গো-রক্ষার নামে গো-রক্ষকদের তাণ্ডবের প্রতিবাদ করেন মোহন ভাগবত। যদিও তাঁকে পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েননি দিগ্বিজয় সিং ও আসাউদ্দিন ওয়েসি। এই পাঠ আগে বিজেপি নেতাদের দিক। এভাবেই কটাক্ষ ছুড়েছেন এই দুই বিরোধী নেতা।
সম্প্রতি সংঘের সংখ্যালঘু সেলের এক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আরএসএস প্রধান। সেখানেই তিনি বলেন, ‘গো-রক্ষার নামে যারা মুসলিমদের শারীরিক নিগ্রহ করছেন, তাঁরা হিন্দু-বিরোধী। যাঁরা বলছেন মুসলিমরা এদেশের নাগরিক নয়, তাঁরা হিন্দু বিরোধী।’ এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব দিগ্বিজয় সিং। ট্যুইটে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা লেখেন, ‘এই কথা যদি ভগবতজি বিজেপি নেতাদের বোঝাতে পারেন, তাহলে আমি উনার গুণগ্রাহী হয়ে থাকবো। আপনারা হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের মাধ্যমে বিদ্বেষের বিষ ঢেলেছেন। এই বিভেদ সহজে মোছার নয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং স্বেবক সংঘ যে বিষ পুঁতেছে সেটা সহজে সরানো যাবে না।‘
এমনকি, এযাবৎকাল মুসলিমদের হেনস্থা করে যারা বিজেপি নেতা হয়েছেন, তাঁদের পদ কাড়তে নির্দেশ দিক আরএসএস। শুরুটা হোক মোদী-শাহকে দিয়ে। এভাবেও সরব হয়েছেন তিনি। একইভাবে সরব হয়েছেন সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েসি। তিনি বলেছেন, ‘এই অপরাধী দেশের হিন্দুত্ব সরকারের মেরুদণ্ড। এরা গরু-মহিষের মধ্যে পার্থক্য বোঝে না। কিন্তু মুসলিম নামেই অত্যাচার চালায়।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন