Advertisment

'সমালোচনাকে সম্মান করি কিন্তু দেশের আইনকেও সম্মান করতে হবে', টুইটারকে বার্তা মন্ত্রীর

'দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও আপস সরকার করবে না।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল বিধি নিয়ে অব্যাহত সরকার-টুইটার দ্বন্দ্ব। শনিবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়ে দিলেন, ভারতের আইনকে সম্মান করতে হবে টুইটারকে। সেই সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও আপস সরকার করবে না। এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Advertisment

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে রবিশঙ্কর বলেন, ‘‘এই নেটমাধ্যমগুলি ভারত থেকে প্রচুর মুনাফা পায়। এই মাধ্যমগুলিতেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের নিয়ে মস্করা করা হয়। আমরা সমালোচনাকে সম্মান করি। গণতান্ত্রিক দেশে কেউ সমালোচনা করতেই পারেন। কিন্তু দেশের আইন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আমরা আপস করব না।’’

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমরা নেটমাধ্যমগুলির গোপনীয়তার নিয়মকে সম্মান করি। কিন্তু কোথাও জঙ্গিহানা বা সমাজবিরোধী কাজ হলে তার তথ্য আমাদের দিতে হবে। দেশের আইনকে সম্মান করা শিখতে হবে টুইটারকে।’’

এদিকে, ভারতে কর্মরত সংস্থার কর্মীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল টুইটার কর্তৃপক্ষ। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ভারতে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা এ দেশে আমাদের সংস্থায় কর্মরতকর্মীদের নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এছাড়াও বলা হয়েছে, বিষয়টি টুইটারের গ্রহকদের ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর সম্ভাব্য হুমকি।

Advertisment

গত সোমবার গুরুগ্রামে অবস্থিত টুইটারের অফিসে অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। গুরুগ্রাম ছাড়াও দিল্লি এনসিআর এলাকায় অবস্থিত লাডো সারাইতে থাকা টুইটারের আরও একটি অফিসে অভিযান চালানো হয়। জানা গিয়েছে কংগ্রেসের টুলকিট কাণ্ডে বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রের টুইটকে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ ট্যাগ সংক্রান্ত মামলায় তদন্তের স্বার্থে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। য়া ঘিরেই বিতর্ত দানা বাঁধে। এরপরই টুইটারের দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যবাহী বলে মনে করা হচ্ছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Facebook twitter Modi Government Digital Law
Advertisment