তখন কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক ইউনিয়নের নেতাদের বৈঠক চলছে। দেশের নজর বিজ্ঞান ভবনে। তার মাঝেই কৃষকদের লঙ্গরে তৈরি খাবারই ভাগ করে খেলেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এর আগে অবশ্য পাঁচ দফা বৈঠকেই কেন্দ্রের দেওয়া খাবার গ্রহণে অস্বীকার করেছিলেন কৃষক সংগঠনের নেতারা।
মধ্যহ্নভোজনের জন্য বুধবার ভ্যানে করে দিল্লি সীমানায় অবস্থানরত কৃশকদের লঙ্গর থেকে খাবার এসেছিল। কয়েক ঘন্টা বৈঠক চলার পরই মধ্যাহ্নভোজনের বিরতি হয়। সেই সময়ই দেখা যায় কেনদ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্ত্র সিং তোমার, খাদ্য ও রেলমন্ত্রী পিযূষ গোয়েল এবং বাণিজ্যমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সোম প্রকাশ কৃষকদের লঙ্গর থেকে আনা ভাত ও সবজি সেদ্ধই খাচ্ছেন।
কেন্দ্র ও কৃষক ইউনিয়নগুলোর মধ্যে গত পাঁচটি বৈঠক নিশ্ফলা হলেও ষষ্ঠ বৈঠকে সমাধান সূত্রে মিলবে বলে বৈঠক শুরুর আগে আশাপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বাড়ি ফিরেই কৃষকরা নববর্ষ ফদযাপন করবেন বলে মনে করছেন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
তবে, তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁরা দিল্লি সীমানায় অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে অনড় প্রতিবাদী কৃষকরা। প্রয়োজনে এই ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে বসেই দিল্লি সীমানায় নববর্ষ উদযাপন করবেন তাঁরা, দাবি বিক্ষোভকারীদের।
এর আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, 'নয়া আইনে কৃষকদের থেকে জমি কেড়ে নেওয়া হবে না। বিরোধিরা কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছেন।' বিক্ষোভকারীদের বার্তা দিতে গত শুক্রবারই কিষাণ প্রকল্পে ১৮ হাজার কোটি দিয়েছেন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন