‘‘ভারত সরকারের পদক্ষেপে আমরা কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের আটক করে রাখা হয়েছে’’।
৩৭০ ধারা রদ ঘিরে জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর জম্মু-কাশ্মীরে যে পদক্ষেপ করেছে নয়া দিল্লি, সে ব্যাপারে এদিন জেনেভায় ৪২তম রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন হাই কমিশনার। পাশাপাশি উপত্যকায় প্রশাসনিক কড়াকড়ি শিথিল করার ব্যাপারে নয়া দিল্লিকে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
Advertisment
আরও পড়ুন: দাক্ষিণাত্যে জঙ্গি হানার আশঙ্কার কথা বলছে সেনাবাহিনী
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের হাই কমিশনার বলেন, ‘‘ভারত সরকারের পদক্ষেপে আমরা কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের আটক করে রাখা হয়েছে’’। তিনি বলেন, কাশ্মীরে এই অচলাবস্থা কাটাতে বিশেষত ভারতের কাছে আর্জি রাখছি। বাসিন্দাদের মানবাধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে। যাঁদের আটক করে রাখা হয়েছে, তাঁদের অধিকার ফেরানোর কথাও বলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে কার্যত থমথমে জম্মু-কাশ্মীর। ৩৭০ ধারা বাতিল ঘিরে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকে। মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। বিভিন্ন এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়। মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লার মতো সে রাজ্যের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের ‘বন্দি’ করে রাখা হয়েছে। ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সরব হয়েছে পাকিস্তান। এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘেও দরবার করেছে তারা। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপে ভারত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, এটা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।