কৃষক আন্দোলনের আঁচ এবার পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তারকারাও ভারতের কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাল্টা ভারতীয় তারকা-বিদ্বজ্জনরাও বিদেশিদের অপপ্রচার-কুৎসা নিয়ে সরব হয়েছেন। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নাক না গলানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিনোদন থেকে ক্রীড়াজগতের তারকারা। এবার ভারতের একতা ও অখণ্ডতা নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। বৃহস্পতিবার চৌরিচৌরার হিংসার বর্ষপূর্তিতে দেশবাসীকে একতার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের একতা রক্ষা করাই সরকারের প্রধান কর্তব্য। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা স্থান পেলেও, মানুষের মনে অনেকেরই জায়গা নেই। স্বাধীনতার যোদ্ধার আজ বিস্মৃত। ১৯২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গোরক্ষপুরের চৌরিচৌরাতে হিংসার জেরে তিনজন সাধারণ মানুষ এবং ২২ জন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগিতা আন্দোলনের শরিক বেশ কিছু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশকর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ হয়। পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারান তিনজন। এরপর থানায় আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা।
আরও পড়ুন কৃষি আইনের সমর্থনে ভারতের পাশে আমেরিকা
সেই ঘটনার শতবার্ষিকী উদযাপন কর্মসূচি এবছর থেকে শুরু করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। যার উদ্বোধন এদিন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি একটি স্মারক ডাকটিকিট উদ্বোধন করেন। শহিদদের স্মরণে রাজ্যের ৭৫টি জেলায় উদযাপন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। মোদী এদিন বলেন, সেদিনের শহিদরা ভারতের ইতিহাসে আজও বিস্মৃত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁদের সংগ্রাম ও বলিদান উদযাপনের দায়িত্ব নিয়েছেন। যার জন্য তিনি আপ্লুত।
এদিন ফের কৃষি আইনের উপকারিতা সম্পর্কে বলেন প্রধানমন্ত্রী। জানান, কৃষকদের হিতে সরকার বহু পদক্ষেপ করেছে। মান্ডিগুলিকে কৃষকদের জন্য লাভদায়ক করা ছাড়াও ১০০০ মান্ডিকে ই-নামের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তিনি দেশবাসীকে বলেছেন, দেশের একতাকে সর্বাগ্রে স্থান দিতে হবে এবং সেটা রক্ষা করাই প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত।