/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/crime.jpg)
ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের নাম। নিশানায় সেই দলিত কন্যারা। উন্নাওয়ের গণধর্ষণের যে জমিটি কলঙ্কের ইতিহাস বহন করে চলছে, সেই জমিতেই মিলল ১৩ ও ১৬ বছরের দুই কিশোরীর মৃতদেহ। বুধবার সন্ধ্যেয় খোঁজ পাওয়া গিয়েছে দেহগুলির। ১৭ বছরের আরেক কিশোরীর দেহও গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে তারা প্রাথমিকভাবে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ করছে। কারণ ধ্বস্তাধ্বস্তি বা লড়াইয়ের কোনও চিহ্ন নেই। এমনকী কিশোরীদের দেহে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। যদি কিশোরীদের ভাইয়ের দাবি, তাঁর বোনেদের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ১৩ ও ১৬ বছরের দুই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। ১৭ বছরের কিশোরীর অবস্থা এখনও গুরুতর। প্রাণে বেঁচে ওঠার জীবনযুদ্ধ চালাচ্ছে সে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে গোটা ঘটনাটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিগৃহীতাদের ভাই বলেন, “বোনেরা ঘাস সংগ্রহ করতে জমিতে গিয়েছিল। আজ অনেকটা দেরিতে ফিরছে দেখে সন্দেহ হয়। তাই আমরা ওদের খুঁজতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখতে পাই ওঁরা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।”
ইনস্পেক্টর জেনারেল (লখনউ রেঞ্জ) লক্ষ্মী সিং বলেছেন, মেয়েদের জবরদস্তি বাঁধা হয়েছে কি না তা এখনও নিশ্চিত করতে পারা যায়নি। লক্ষ্মী সিং বলেন, "কিশোরীদের ভাই একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই মৃতদেহগুলি সরানো হয়েছিল। তাই আমরা এখনই কিছু বলতে পারি না।" অন্যদিকে, ইউপির এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর তিনটের দিকে এই কিশোরীরা তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রাতের দিকে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাঁদের খুঁজতে গিয়েই মৃত অবস্থায় পায়।
উন্নাওয়ের এসপি সুরেশরাও এ কুলকার্নি বলেন, “আসোহা থানা সীমানার আওতায় তিনটি মেয়েকে তাঁদের নিজস্ব জমিতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। হাসপাতালে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। এটা প্রকাশ্যে এসেছে যে তারা জমিতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। তাঁদের মুখ থেকে কিছু সাদা পদার্থ বেরিয়ে এসেছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে বিষক্রিয়া হওয়ার লক্ষণ রয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যক্তির বক্তব্য রেকর্ড করছি এবং তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। ”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন