লকডাইনে ক্ষতিগ্রস্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা। তাদের মজুরি যাতে কাট না হয় তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মোদীর কাছে দরবার করলেন ভারতের কর্পোরেট দুনিয়ার প্রথাম সারির ছ'জন শিল্পপতি।
টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখর প্রথম এই দাবি জানান। তাঁর মতে, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলির কাছে এই সয়কালে যাতে সরাসরি আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায় তার চেষ্টা করতে হবে। কোটাক মহিন্দ্রার ম্যানেজিং ডিরেক্টর উদয় কোটাক জানিয়েছেন, আসংগঠীত ক্ষেত্রের ২৫ বছরের বেশি বয়সী শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবিলম্বে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের এককালীন ১০ হাজার দেওয়া যেতে পারে। কর্পোরেটদের তালিকায় রয়েছেন, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, সঙ্গীতা রেড্ডি, কেতন রেড্ডিরা।
আরও পড়ুন: ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে লকডাউন
অসংগঠিতক্ষেত্রের কর্মীদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি কর্পোরেটদের তরফে করোনা চাপ সামাল দিতে ব্যবসাতে কর ছাড়া ও সুবিধা প্রদানের কথা বলা হয়। যেমন,ঋণের ক্ষেত্রে ৬ মাসের মোনেটেরিয়াম প্রদান, সপ্তাহে চারদিন শ্রমিকদের ১২ ঘন্টা কাজে ছাড়পত্র, সপ্তাহে কাজের দিন বৃদ্ধি, আরবিআই-য়ের মাধ্যমে বিশেষ সাহায্য দান উল্লেখযোগ্য।
সোমবারই অর্থমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে, সরকারী কাজে করেন এমন যে সব চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক লকডাউনের জন্য কাজে যোগ দিতে পারছেন না তাঁদের মজুরি কাটা হবে না। অসংগঠীত ক্ষেত্রের শর্মিকদের জন্যও একই আর্জি জানিয়েছে সরকার। সমীক্ষায় প্রকাশ ভারতে প্রায় ৪৭.৪১ কোটি শ্রমিক অসংগঠীত ক্ষেত্রে কাজ করেন।
করোনাভাইরাসের জেরে গোটা দেশে জারি রয়েছে লকডাউন। বন্ধ গণপরিবহণ ব্যবস্থা। ফলে কাজে যোগ দিতে পারছেন না শ্রমিকরা। ফলে মজুরি না পেয়ে চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাই সরকারকে পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছেন ভারতের বহু কর্পোরেট।
Read the story full in English