রেলের ৬ হাজার স্টপেজ বাতিল হতে পারে, কারণ 'অলাভজনক'

যেসব স্টেশন থেকে দিনে ৫০ জনের কম যাত্রী ট্রেনে ওঠা-নামা করেন সেগুলিইকেই প্রাথমিকভাবে বাতিলের তালিকায় ফেলা হয়েছে। এই মানদণ্ডে প্রায় ৬ হাজার স্টপেজ বাদ পড়বে।

যেসব স্টেশন থেকে দিনে ৫০ জনের কম যাত্রী ট্রেনে ওঠা-নামা করেন সেগুলিইকেই প্রাথমিকভাবে বাতিলের তালিকায় ফেলা হয়েছে। এই মানদণ্ডে প্রায় ৬ হাজার স্টপেজ বাদ পড়বে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
unremunerative-6000-train-stoppages-may-be-dropped-by-rail

৬ হাজার স্টপেজে আর নাও থামতে পারে ট্রেন।

দেশ জুড়ে প্রায় ৬ হাজার ট্রেন স্টপেজকে বাতিলের পথে রেল। আগামীতে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে 'জিরো বেসড টাইম টেবিল' অনুযায়ী বৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োগ করবে রেল। এতে রেলের গতি বাড়বে। ফলে অলাভজনক স্টেশনগুলিতে অযথা ট্রেন থামিয়ে সময় নষ্ট করতে রাজি নয় ভারতীয় রেল।

Advertisment

লকডাউনের সময় আইআইটি মুম্বইয়ের সহায়তায় সময়সূচি তৈরির কাজ শেষ করেছে রেল। কোন স্টেশনে কেন ট্রেন থামবে তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তবে মহামারীর কারণে নতুন ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রয়োগ থমকে রয়েছে।

রেল সূত্রে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, যেসব স্টেশন থেকে দিনে ৫০ জনের কম যাত্রী ট্রেনে ওঠা-নামা করেন সেগুলিইকেই প্রাথমিকভাবে বাতিলের তালিকায় ফেলা হয়েছে। এই মানদণ্ডে প্রায় ৬ হাজার স্টপেজ বাদ পড়বে। ট্রনের গতি বৃদ্ধিই নতুন পদ্ধতি প্রয়োগের মূল কারণ।

Advertisment

তবে, এ বিষয়টি রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব খুব একটা খোলসা করতে চাননি। তিনি বৃহস্পতিবার বলেছেন, 'পণ্য ও যাত্রী ট্রেনের জন্য পৃথক সময়সূচী তৈরি করা হয়েছে। আলাদা করিডর ব্লকও প্রস্তুত হবে।' সিগন্যালিং ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে দ্রুত ট্রেন চলাচলের জন্যই এই পদক্ষেপ। ভারতীয় রেল কয়েক বছর আগেই করিডর ব্লক পদ্ধতির প্রয়োগের কথা ভেবেছিল। কিন্তু, অতি মাত্রায় ট্রেন চলাচলের কারণে তা সফল হয়নি।

রেল বোর্ডের চয়ারম্যান ভি কে যাদব অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন যে এই পদ্ধতির ফলে যেসব স্টপেজ বাদ পড়বে সেখানে অন্য কোনও ট্রেন চালিয়ে পরিষেবা চালু রাখা হবে।

মহামারীর কারণে গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। তবে, চাহিদার ভিত্তিতে নতুন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে ট্রেন চালাতে মরিয়া রেল কর্তৃপক্ষ। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, 'প্রতিক্ষা তালিকা (ওয়েটিং লিস্ট) ছাড়াই আপাতত বেশিরভাগ ট্রেন চলছে। ধৈর্য্য ধরলে প্রতিক্ষা তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিরাও নিশ্চত টিকিট পাবেন। তাই আপাতত বেশি ট্রেন চালানোর কোনও প্রয়োজন নেই।'

সংক্রমণ বাড়ছে, তাই কবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে তার ঠিক নেই। মে মাসের শুরু থেকে ৯ই জুলাই পর্যন্ত রেল ৪,৬১৫ ট্রেনে করে ৬৩.১ পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি ফিরিয়েছে।'

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

indian railway