Advertisment

সুর বদল! পুলওয়ামার জেরে পাকিস্তানের পাশ থেকে সরছে চিন?

পুলওয়ামার ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত আত্মঘাতী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। একইসঙ্গে জইশ-এ-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের নামও নিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।এই প্রস্তাবে পাশে দাঁড়িয়েছে চিনও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pulwama, পুলওয়ামা

পুলওয়ামার ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত আত্মঘাতী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

মাসুদ আজহার ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান বদলাচ্ছে চিন? বৃহস্পতিবার তেমন ইঙ্গিতই দিল ড্রাগনের দেশ। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়ে সরব হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। পাশাপাশি এ ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত আত্মঘাতী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। একইসঙ্গে জইশ-এ-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের নামও নিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। রাষ্ট্রসংঘের এই প্রস্তাবে পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত চিনও। এহেন প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক স্তরে ভারত বড়সড় সাফল্য পেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Advertisment

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’-র তালিকায় জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের নাম অন্তর্ভুক্তি করা নিয়ে মরিয়া ভারত সরকার। আজহারকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করতে ভারতের পথে বাধা হিসেবে বরাবর দাঁড়িয়েছে চিন। বারবার, মাসুদ আজহার ইস্যুতে পাকিস্তানেরই পাশে থেকেছে বেজিং। শেষমেশ, পুলওয়ামার হামলায় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিন্দা প্রস্তাবে যেভাবে চিন পাশে দাঁড়াল, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন, চিন কেন আজহার মাসুদকে বাঁচাচ্ছে?

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, নিন্দা প্রস্তাব পেশের তত্ত্বাবধানে ছিল ফ্রান্স। এ প্রস্তাবে পাশে থেকেছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, রাশিয়া ও চিন। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, নিন্দা প্রস্তাবে জইশ-এ-মহম্মদের নাম উল্লেখ করায় চিন কোনও টুঁ শব্দ না করেই তাতে সম্মতি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন, সৌদি আরব কেন ভারতের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ?

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরে ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছেন ৪০ জন জওয়ান, জখম হয়েছেন আরও অনেকে। যার জন্য দায়ী জইশ-এ-মহম্মদ। এর নিন্দা জানাচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা।’’

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘নিহতদের পরিবার ও ভারত সরকারের প্রতি সমব্যথী নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’ সন্ত্রাস দমন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, এই নিন্দনীয় ঘটনায় অপরাধী, সংগঠক, অর্থদাতাদের শাস্তির ব্যাপারে জোর দিচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ।

Read the full story in English

International news national news china Explained
Advertisment