পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রকোপে গত ৪৮ ঘন্টার প্রবল ঝড় এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে ভারতের তিন রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশে মারা গেছেন ১৬ জন, ৬ জন রাজস্থানে এবং গুজরাতে ১০ জন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, গত কয়েকদিন যাবৎ দেশের বহু অঞ্চলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম ছিল, যার ফলস্বরূপ আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ মেঘ এই অঞ্চলগুলিতে ঢুকতে শুরু করে এবং কার্যত ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেয়।
ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি মৃতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন এবং ভবিষ্যতে সেই সব পরিবারকে সব রকমের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাসও দেন।
এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে একটি টুইট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
গুজরাটের উত্তরাঞ্চলে এবং সৌরাষ্ট্র সংলগ্ন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল গুজরাটের আবহাওয়া দপ্তর। "বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, কমপক্ষে ১০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিংবা গাছ ভেঙ্গে পড়ায়, যাঁদের মধ্যে বেশীরভাগই গুজরাতের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা," জানান গুজরাট সরকারের ত্রাণ দপ্তরের প্রধান জি বি মহাপাত্র।
আরও পড়ুন: এবছর স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের আশ্বাস আবহাওয়া দপ্তরের
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আধিকারিকদের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার গুজরাতে প্রধানমন্ত্রীর যে সমাবেশ হবে, সেই মঞ্চের বেশ কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ সিং জাদেজা পিটিআইকে বলেন, "আগামীকাল বিকেলে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঘূর্ণিঝড়ে মঞ্চের কিছু অংশ এবং সাজসজ্জা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেগুলিকে শীঘ্রই মেরামত করা হবে।"
ওদিকে অকালবর্ষণে রাজস্থানে জনজীবন কার্যত বন্ধের পথে। ৬০ কিমি বেগে বয়ে যাওয়া ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে উপড়ে যায় বহু গাছ, ইলেক্ট্রিক পোল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় দু'জন শিশু, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় আরও দু'জনের।
Read the full story in English