Advertisment

Premium: মাদক পাচারই হয়ে উঠেছে পারিবারিক ব্যবসা, দক্ষ হাতে সামলাচ্ছেন মহিলারাই!

পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান, ডিজিপি গৌরব যাদব স্বীকার করেছেন যে তারা মহিলারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে আগের থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় যুক্ত হচ্ছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Punjab News, Drug, NCRB, Punjab Drugs Business, Punjab Drugs News,

পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান, ডিজিপি গৌরব যাদব স্বীকার করেছেন যে তারা মহিলারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে আগের থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় যুক্ত হচ্ছেন।

পাঞ্জাবে মাদক পাচার এক ভয়ানক সংকটে পরিণত হয়েছে। একসময় মাদক ব্যবহারকারীদের তালিকায় শীর্ষে ছিল পাঞ্জাব। পাঞ্জাব সরকার এই গুরুতর সংকট মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গঠন করা সত্ত্বেও, রাজ্যকে মাদক পাচারের মত ভয়ানক অপরাধ আজও তাড়া করে। সবচেয়ে অবাক করার মত ঘটনা মহিলারা এই মাদক পাচারের মত অপরাধের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন। পাঞ্জাবের পাতিয়ালা জেলার ছোট গ্রাম রোহতি চান্না গ্রাম। গত বছর এই গ্রামের ১৪ জন বাসিন্দার বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্য এখন মাদকের ব্যবহার ও পাচারের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

Advertisment

প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে উত্তরপ্রদেশ এখন তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তারপরে মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাব । চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পিজিআইএমইআর) এর কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের তরফে প্রকাশিত 'রোডম্যাপ ফর প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ সাবস্ট্যান্স অ্যাবিউজ ইন পাঞ্জাব' বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ বলছে যে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বা পাঞ্জাবের জনসংখ্যার প্রায় ১৫.৪ শতাংশ বর্তমানে মাদক সেবন করছেন।

পাঞ্জাবে মাদক ব্যবসার অঙ্কটা প্রতি বছর প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার আশেপাশে। মাদকাসক্ত হয়ে অনেক পরিবার তাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছে। তবে এটা লক্ষনীয় মাদক ব্যবসায়ের মহিলাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। বছর ১৯-এর প্রিয়াঙ্কা, গত জুনে ৮৭৫ টির বেশি 'মাদক' সহ গ্রেফতার হন। তার মা ও বোন অতীতেও মাদক রিধোধী আইনের আওয়ায় গ্রেফতার হয়েছেন। একই গ্রামের আরও তিনজন মহিলাকে ৪.৫ গ্রাম থেকে ৬০ গ্রাম পর্যন্ত হেরোইন সহ গ্রেফতার করা হয়।

এই মহিলারা পাঞ্জাবের মাদকাসক্তির গল্পের একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। যারা মাদক ব্যবসায়ে অপ্রতিরোধ্যভাবে আধিপত্য করে আসছে। ১লা এপ্রিল, ২০২২ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ -এর মধ্যে পাঞ্জাব পুলিশের তরফে দায়ের করা NDPS আইনের অধীনে দায়ের করা ১১ হাজারের বেশি FIR-এর মধ্যে ১০ শতাংশ-ক্ষেত্রে মহিলারা জড়িত। এই সংখ্যাগুলি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। যখন ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে মহিলাদের বিরুদ্ধে ৯০০ টিরও কম NDPS আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সংখ্যাটি ২০১৯ সালে বেড়ে হয়েছে ১২৩৩। ২০২০ সালে করোনা সংকটের সময় এই সংখ্যা কিছুটা কমলেও তার পর থেকে ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে সংখ্যাটা।

পাতিয়ালা জেলাতেই মহিলাদের বিরুদ্ধে ১১৬ টি এফআইআর রয়েছে মাদক মামলায়। তারপরে কাপুরথালা এবং লুধিয়ানা এবং এসবিএস নগর । এফআইআরের ভিত্তিতে ১,৫৩৩ জন মহিলাকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার তাদের মধ্যে ১৪০৮ জন বিবাহিত। পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান, ডিজিপি গৌরব যাদব স্বীকার করেছেন যে তারা মহিলারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে আগের থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় যুক্ত হচ্ছেন। পুলিশ আধিকারিকরা বলছেন যে রাজ্যের অনেক জায়গায় মাদক ব্যবসা একটি পারিবারিক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। যেখানে মহিলারা বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে৷ পুরুষরা ধরা পড়লে বা অকালে মারা গেলে তারা ব্যবসা চালান একেবারে দক্ষ হাতেই।

Punjab Drug Case
Advertisment