মোদীর নাম করে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা, বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ছবি, উদ্ধার অজস্র আধার কার্ড, যোগীরাজ্যে তোলপাড়! কীভাবে ফাঁদ পাতেন অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই?
Advertisment
প্রধানমন্ত্রী দপ্তর বা পিএমও’র নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে সঞ্জয় রাই নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্ণৌয়ে পুলিশের জালে আটক হন অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই। গ্রেফতারির পর রাজ্যজুড়েই তুমুল হইচই শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে আরএসএস প্রধান মোহন ভগবতের সঙ্গে একাধিক ছবি রয়েছে তার সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘দিব্যদর্শী মোদী’ নামের একটি বইও লিখেছেন। বিভিন্ন ধর্মগুরুদের সঙ্গেও দেখা যাচ্ছে তাকে। বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডা, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সহ বহু বিশিষ্ট মানুষের সঙ্গে সঞ্জয় রাইয়ের ছবি প্রকাশ পেতেই আসরে নেমেছে বিরোধী দলগুলি। পুলিশ সূত্রে খবর ২৫ এপ্রিল গাজিপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় রাই ওরফে সঞ্জয় শেরপুরিয়াকে কানপুর স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের টাস্ক ফোর্স। STF-এর ডিজি শচীন কুমার জানিয়েছেন রাইয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 420, 467, 468 এবং 471 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তথ্য প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, 2008-এর 66D-এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রের খবর কেবল উত্তরপ্রদেশ নয় দিল্লি ও গুজরাট সহ একাধিক রাজ্য থেকে পিএমও নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির মামলাও রয়েছে। পুলিশি জেরায় রাই শিল্পপতি গৌরব ডালমিয়ার নাম সামনে এনেছেন বলেই খবর। রাইয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি আর্থিক অনিয়মের একটি মামলায় ডালমিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল। মামলা তুলে নিতে রাইকে এই বিপূল পরিমাণ টাকা দিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়াও রাইয়ের কাছ থেকে দুটি ভিন্ন ঠিকানা সহ আধার কার্ড এবং অন্যান্য আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। যার একটির ঠিকানা মধ্য দিল্লিতে এবং অন্যটি গুরগাঁওয়ের। এসটিএফ বলেছে যে অভিযুক্ত দাবি করেছেন যে তিনি লোকেদের বিভিন্ন আইডি কার্ড দিয়ে প্রতারণা করতেন যাতে তার আসল পরিচয় সামনে না আসে।