ফের উত্তরপ্রদেশে যোগীর পুলিশের অত্যাচার! হাসপাতাল চত্বরে এক শিশু কোলে যুবককে বেধড়ক মারল পুলিশ। অভিযোগ, ওই যুবক নাকি হাসপাতালের আউটডোরে পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিলেন। কিন্তু পুলিশের মারের ভিডিও রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভিডিও টুইট করে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কঙ্কালসার দশা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা।
ভিডিওতে যে যুবককে বাচ্চা কোলে মার খেতে দেখা গিয়েছে, তাঁর সম্পর্কে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের ভাই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। ওই কর্মী আরও কয়েকজনকে নিয়ে হাসপাতালে পুলিশকর্মীদের আটকে রেখে তাঁদের সঙ্গে নাকি দুর্ব্যবহার করেছেন। কানপুরের (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার কেশব কুমার চৌধুরি জানিয়েছেন, "১০০ জনকে নিয়ে হাসপাতালে গন্ডগোল করে সরকারি কর্মী। আউটডোর বিভাগ বিনা কারণে বন্ধ করে দেয় তাঁরা।"
তিনি আরও বলেছেন, আকবরপুর থানায় খবর যেতেই পুলিশ ছুটে আসে হাসপাতালে। পুলিশ জানতে পারে, রোগীরা ভুক্তভোগী হন এই ঝামেলার জন্য। স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে। তবে লাঠিচার্জের ঘটনায় মুখ পোড়ার জেরে এসপি জানিয়েছেন, "যে পুলিশ অফিসার লাঠি চার্জ করেছেন তাঁকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এএসপি স্তরের অফিসার বিষয়টি তদন্ত করবেন।"
আরও পড়ুন “কী খাব সেটা কি পুরসভা ঠিক করবে?”, কর্পোরেশনকে তুমুল ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
কিন্তু ভিডিওতে দেখা গেছে, যেভাবে অমানসিক লাঠি চালানো হচ্ছিল তাতে যুবকের কোলে থাকা শিশু আহত হতে পারত। শিশুটিকে কি রেয়াত করে যেত না! উত্তরে এসপি বলেছেন, "অফিসার যুবকের কোমরের নীচে মারছিলেন। শিশুকে মারা হয়নি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন