যোগী সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে ফের রাজধানীমুখী উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন প্রায় ৫০০ কৃষক। পদযাত্রার মাধ্যমেই তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রশাসনকে সচেতন করতে চান ভারতীয় কৃষক সংগঠনের সদস্যরা। আখের বকেয়া অর্থ আদায়, সম্পূর্ণ কৃষি ঋণ মকুব, কৃষিকাজে বিনামূল্যে বিদ্যুত ব্যবহার করা এবং বয়স্ক কৃষকদের পেনশনের দাবি সহ মোট ১৫টি দাবি নিয়ে হচ্ছে এই যাত্রা। দাবির তালিকায় রয়েছে গরু রক্ষনাবেক্ষ বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়টিও।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির যোগী সরকার শাসন ক্ষমতায়। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি। তাই, রাজ্যের বিজেপি সরকারের দায় এড়াতে পারে না কেন্দ্র। মোদী সরকারের কাছে যোগী রাজ্যের কৃষকদের হাল তুলে ধরতেই তাই দিল্লি চলোর উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: ‘রাজীব কুমারের প্রাণহানির আশঙ্কা’!
বছরের শুরুতেই এই কৃষকদের লং মার্চ দেখেছে দেশ। ভোটের আগে নাসিক মুম্বাই সেই লং মার্চ ঘিরে আলোড়ন পড়েছিল। তারই ছোট সংস্করণ দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি পর্যন্ত কৃষকদের যাত্রায়। সজাগ প্রশাসন। দিল্লির পূর্বের যুগ্ম কমিশনার গাজিপুর থেকে জানান, 'উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রয়েছে। প্রায় ৫০০ কৃষক যাত্রা শুরু করেছে।'
দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে গত ১১ই সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে কৃষকরা। গত শুক্রবার, প্রতিবাদী কৃষকরা নয়ডায় এসে পৌঁছে গিয়েছেন। সেখানেই তাদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘এনআরসি-তে ভুল থাকা স্বাভাবিক’, হিন্দু বাঙালিদের পাশে থাকার বার্তা রাম মাধবের
উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে চিনি মিলগুলিকে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কৃষকদের বকেয়া অর্থ দেওয়ার চরম সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। মরসুম শুরুর আগেই যাতে বকেয়া পেয়ে যান কৃষকরা তার জন্যই এই নির্দেশ বলে দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশ সরকার।
আখ চাষীদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য পদক্ষেপ করক। গত বুধবার, এলাহাবাদ হাইকোর্ট যোগী সরকারকে এই নির্দেশ দেয়। দু'জন কৃষকের আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়েছিল, বকেয়ার কারণে ব্যাঙ্কের লোন তাদের পক্ষে শোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
Read the full story in English