উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হল ম্যারিয়ন বায়োটেকর। সংস্থাকে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ ড্রাগ কন্ট্রোলার এবং সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)। সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ সেবনে মৃত্যু হয় ১৮ শিশুর। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে উজবেকিস্তান।
উজবেকিস্তানের দাবির পর উত্তরপ্রদেশ ড্রাগ কন্ট্রোলার এবং সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) বিষয়টি নিয়ে যৌথ তদন্ত করে। এবং সংস্থাকে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গতকাল মধ্যরাতে সংস্থার উৎপাদন ইউনিট পরিদর্শন সম্পন্ন হয়। উত্তরপ্রদেশের ড্রাগ কন্ট্রোলার ইউনিটের সমস্ত ওষুধের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
ম্যারিয়ন প্রোডাকশন ইউনিট ঘুরে আধিকারিকরা দেখেন, যথাযথ প্রটোকল মানা হয়নি। এরপরই উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।সূত্রের খবর কোম্পানিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া বলেন, সরকার "পরিদর্শন করে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে"। তিনি বলে্ন যে ভারত সরকার ২৭ ডিসেম্বর থেকে এই বিষয়ে উজবেকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।
উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে সিরাপের একটি ব্যাচের ল্যাব পরীক্ষায় "ইথিলিন গ্লাইকোল" এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে, একটি বিষাক্ত রাসায়নিক। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বাড়িতে শিশুদের সিরাপ দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। এই সিরাপটি নির্ধারিত ডোজের চেয়ে বেশি মাত্রায় শিশুদের দেওয়া হয় যার জেরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় ১৮শিশুর।
মন্ত্রক জানিয়েছে হাসপাতালে ভর্তির আগে, শিশুরা দুই থেকে সাত দিন বাড়িতে এই সিরাপ সেবন করে। ২.৫ থেকে ৫ মিলি দিনে তিন থেকে চার বার এই সিরাপ শিশুদের দেওয়া হয়। যা শিশুদের আদর্শ ডোজের চেয়ে অনেকটাই বেশি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৮ শিশুর মৃত্যুর পর দেশের সব ফার্মেসি থেকে ডক-১ ম্যাক্স ট্যাবলেট ও সিরাপ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।