এবার নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশেরই বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ১৩ বছরের মেয়ে থানায় গিয়েছিল ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে। সেখানে তাকে ফের ধর্ষণ করেছে থানার অফিসার ইনচার্জ। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছে নির্যাতিতার বাবা। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরের থানার।
নাবালিকা নির্যাতিতার বাবার কথা অনুযায়ী, গত ২২ এপ্রিল তাঁর মেয়েকে জনা চারেক যুবক লোভ দেখিয়ে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে তিনদিন মেয়েটিকে রেখে দেওয়া হয়। চলে তাঁর উপর পাশবিক অত্যাচার। ২৬ এপ্রিল নির্যাতিতাকে ওই যুবকরা ললিতপুরের গ্রামে এনে থানার সামনে নামিয়ে দিয়ে যায়।
সব জানতে পেরে ২৬ এপ্রিল নির্যাতিতাকে তার বাড়ি লোকেরা অভিযোগ দায়েরের জন্য ললিতপুর থানায় নিয়ে যায় মেয়েটিকে। কিন্তু মেয়েটির বাবার অভিযোগ যে, তাদের পরের দিন আসতে বলা হয়েছিল। সেইমতো পরদিন সকালে নির্যাতিতাকে তার কাকিমা থানায় নিয়ে দগিয়েছিলেন। সেই সময়, কাকিমার সামনেথানার অফিসার ইনচার্জ একটি ঘরে নিয়ে যায় মেয়েটিকে। তাকে সে ফের ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- দেশ জুড়ে বাড়ছে বিচারাধীন বন্দির সংখ্যা, রাজ্যগুলির কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন মোদীর
গোটা ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় পুলিশ প্রশাসনে। ললিতপুরের পুলিশ সুপার নিখিল পাঠক বলেছেন, 'অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ও মেয়েটির কাকিমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে তল্লাশি চলছে। নির্যাতিতা যখন প্রথমবার (২৬ এপ্রিল) থানায় পৌঁছায় তখন কেন ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়নি তার সত্যতা উদঘাটনে তদন্ত চলছে।'
নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। তার রিপোর্ট সম্পর্কে বুধবার সকাল পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। যে চার জন মেয়েটিকে ভোপালে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ, তাদের মধ্যে তিন জনকে ইতিমধ্যেই ললিতপুর পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে খবর। একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।