দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও এখন চর্চার বিষয় উত্তরপ্রদেশে গঙ্গার পাড়ে গণকবর। বৃষ্টিতে নদীপাড়ের বালি সরে গিয়ে শয়ে শয়ে মৃতদেহ ভেসেছে গঙ্গায়। কলুষিত করেছে পুণ্যসলিলা নদীকে। তা নিয়ে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও ভর্ৎসিত যোগী প্রশাসন। সমালোচনায় বিদ্ধ যোগী সরকার এবার গঙ্গায় ভাসমান পরিত্যক্ত দেহগুলির জেলাওয়াড়ি তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করল।
অনেকে বলছেন, দেরিতে হলেও সুবুদ্ধি হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের। ক্লিন গঙ্গা জাতীয় মিশনের তরফে বিস্তারিত তথ্য তলবের পরই নড়েচড়ে বসে সরকার। শুক্রবার জেলাওয়াড়ি তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। প্রত্যেক সপ্তাহে সেই রিপোর্ট রাজ্য সরকারকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ক্লিন গঙ্গা জাতীয় মিশনের অন্তর্গত উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টর আচ্ছে লাল যাদব রাজ্যের ৭২ জন জেলাশাসককে চিঠিতে নির্দেশ দিয়েছেন, কতগুলি বেওয়ারিশ ও অজ্ঞাতপরিচয় লাশ গঙ্গা থেকে উদ্ধার হয়েছে, নদীর পাড়ে কত দেহ কবর দেওয়া হয়েছে, সেগুলি আদৌ বিধি মেনে হয়েছে কি না তার রিপোর্ট পাঠাতে।
একইসঙ্গে জেলাওয়াড়ি শ্মশান-কবরস্থানের পরিকাঠামো গত অডিট করে তার রিপোর্ট জেলাশাসকদের পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে গঙ্গা ও অন্যান্য নদীতে দেহ ফেলা, নদীর পাড়ে দেহ কবর দেওয়া নিষিদ্ধ করার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে পরিত্যক্ত লাশগুলির সৎকারের জন্য অর্থের কী করা হয়েছে তারও রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।
লাশ ভেসে আসার জন্য নদীর জলের দূষণের কথাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে ক্লিন গঙ্গা জাতীয় মিশনের ডিজি রাজীব রঞ্জন মিশ্র উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ, এই পাঁচ রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি পাঠিয়ে জানায়, নদী তীরবর্তী গ্রামীণ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়ার জন্য।