অক্সিজেন বন্ধ রেখে মক ড্রিল করতে গিয়ে কোভিড রোগীদের সঙ্কটাপন্ন করেছিল আগ্রার নার্সিংহোম। তারপর থেকে তালাবন্দি শ্রী পরশ হাসপাতাল। কিন্তু সম্প্রতি সেই হাসপাতালকে ক্লিনচিট দিয়েছে যোগী সরকার। উত্তরপ্রদেশ সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি এই ক্লিনচিট দিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে পেশ করা রিপোর্টে সেই কমিটি ক্লিনচিট প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছে, মকড্রিলে কোনও রোগীর মৃত্যু হয়নি।
৪ সদস্যের সেই কমিটি আরও লিখেছে, ‘তদন্তে দেখা গিয়েছে কোভিড প্রোটকল মেনেই সব রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। হাসপাতালের অক্সিজেনের সংখ্যা এবং সরবারহ তালিকাও স্বচ্ছ। মকড্রিলে কোনও কোভিড রোগীর অক্সিজেন সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেনি। যারা মারা গিয়েছে, তাঁরা হয় কোমর্বিডিটি কিংবা অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু হাসপাতালের তরফে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের যোগান ছিল।‘
সেই ঘটনার দিন ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিসংখ্যান তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ। পাশাপাশি প্রত্যেক মৃতের তথ্য উল্লেখ করা তদন্ত রিপোর্টে। তবে করোনার গ্রাফ যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছে হাসপাতাল। এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে তদন্ত রিপোর্টে। অক্সিজেন্র ঘাটতি দেখিয়ে অনেক রোগীকে ছেড়েছে সেই হসাপাতাল। মহামারী আইনে অভিযুক্ত হিসেবে সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত রিপোর্টে।
এদিকে, ৫ মিনিট অক্সিজেন বন্ধ রাখলে কে কে বাঁচবে? কতৃপক্ষের মকড্রিলের খপ্পরে পড়ে আগ্রার নার্সিংহোমে মৃত্যুর ঘটনা। গত এপ্রিলের ২৬ এবং ২৭ তারিখের এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও দেখে নার্সিংহোমে কর্ণধারকে কাঠগড়ায় তুলেছে পুলিশ। ভিডিওয় স্পষ্ট হয়েছে, ক্রিটিক্যাল রোগী থাকা সত্ত্বেও এই মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিযুক্ত।অভিশপ্ত সেই কোভিড কেয়ার ইউনিটে ৯৭ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যাঁদের মধ্যে ১০ জনের বেশি পাঁচ মিনিট অক্সিজেন না পেয়েই মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই জেলা প্রশাসন সূত্রে সেই সময় খবর ছিল।
ভাইরাল সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নার্সিংহোমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দায়ের হয়েছিল এফআইআর। জেলা শাসক প্রভু সিং অতিরিক্ত জেলা শাসক (সহর)-এর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। তারাই ভিডিও খতিয়ে দেখে এবং তদন্ত করে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন