Advertisment

গনেশ চতুর্দশীর দিন একটুর জন্য সন্ত্রাসহামলা থেকে রক্ষা পেল কানপুর

গনেশ চতুর্দশীর সময় সবাই যখন একজায়গায় ভীড় করে নাচেগানে মত্ত, এমন সময়ই একাধিক মানুষকে বিস্ফোরণের কবলে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে ছিল এই সন্ত্রাসবাদীর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

হিজবুল মুজাহিদিন সন্ত্রাসের সক্রিয় সদস্য এই ব্যক্তি।

জঙ্গি হামলার থেকে একটুর জন্য রক্ষা পেল কানপুর। গণেশ চতুর্দশীর সময় সবাই যখন জায়গায় জায়গায় ভীড় করে নাচেগানে মত্ত, এমন সময়ই একাধিক মানুষকে বিস্ফোরণের কবলে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল হিজবুল মুজাহিদিনের এক জঙ্গী। তবে ঘটনাটি ঘটার আগেই গোপনে সেই প্ল্যানের আঁচ পেয়ে যায় কানপুর পুলিশ। রাতারাতি তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পাকড়াও করা হয় তাকে।

Advertisment

ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ ওপি সিং বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে আসামের বাসিন্দা কমর-উজ-জামান, বয়স ৩৭, হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, কানপুরের চাকেরী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় কমর-উজ-জামানকে।

আরও পড়ুন : গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নিল মহারাষ্ট্র এটিএস

ডিজিপি আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গণেশ চতুর্দশীর দিন দর্শনার্থীদের উপর ভয়াবহ আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, আক্রমণের কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সিং বলেন, "ধর্মীয় পরিবেশকে বিকৃত করার জন্য সে এই পরিকল্পনা করেছিল বলে প্রাথমিক অনুমান, এছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে আছে কিনা তা জানতে অনুসন্ধান চালাচ্ছি আমরা।"

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্যের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড আট-দশ দিন ধরে তল্লাশি চালাচ্ছিল, মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তাকে হাতেনাতে ধরা গেছে বলে সূত্রের খবর। "সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় ছিল সে এবং ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে একটি AK-47 বন্দুকের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করেছিল, এই ছবি আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়, এবং অনেকদিন ধরেই নজরবন্দি ছিল ওই আততায়ী," বলেন ডিজিপি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরালও হয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আরও পড়ুন :কেরালার সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাপানউতোর অব্যাহত

জাতীয় তদন্ত সংস্থা, অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড এবং কানপুর পুলিশের সহায়তায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। "২০১৭ সালে এই সন্ত্রাসবাদী পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল এবং হিজবুলের দলে যোগ দিয়েছিল। ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশের বাইরেই ছিলেন বলে জানা গেছে।"

কমর-উজ-জামান কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা করেছিল, কিন্তু তৃতীয় বর্ষে গিয়ে পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর পড়াশোনা ট্যাগ করে। এই সব তথ্য থেকেই তদন্ত করা শুরু করেছে পুলিশ। এই পরিকল্পনার পিছনে কারা আছে, কোথায় এদের ঘাঁটি, শুধুই কি ধর্মীয় পরিবেশকে নষ্ট করতে এসেছিল, নাকি এর পিছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে, এই সব কিছুই খতিয়ে দেখতে তৎপর হয়েছে কানপুর পুলিশ।

ঘটনার পর গণেশ পুজোকে ঘিরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বজায় রাখতে একাধিক পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে কানপুর শহরে।

Advertisment