যোগীরাজ্যে ফের নৃশংস খুন! নাতনির ধর্ষণের মামলায় বয়ান পাল্টাতে রাজি না হওয়ায় খুন হতে হল প্রৌঢ়কে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মীরগঞ্জ থানা এলাকায়। ওই প্রৌঢ় পেশায় একজন চাষি। তিনি এবং তাঁর দুই ছেলে ওইদিন বাজারে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ধর্ষণে অভিযুক্তদের পরিবারের চার সদস্য মহেন্দ্র, রাহুল, রামস্বরূপ এবং ভগবান দাস তাঁকে আটকায়।
প্রৌঢ়ের ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার রাজকুমার আগরওয়াল বলেছেন, অভিযুক্তরা বন্দুক নিয়ে আসে এবং প্রৌঢ়কে শাসিয়ে বলে, বয়ান পাল্টাতে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এর পরই বাকবিতণ্ডা শুরু হয় দুপক্ষে। প্রৌঢ়-সহ তিনজনকে বেধড়ক মারধর করে ধর্ষণে অভিযুক্ত সুরজপালের পরিবারের লোকজন।
এর পর এক ছেলে দৌড়ে বাড়ি চলে যান সাহায্য চাইতে। ততক্ষণে প্রৌঢ়কে বাঁশ-লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন চরম বিড়ম্বনা! মোদী ফেরার পরদিনই ধসে গেল ৬ কোটির পিচ রাস্তা, তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
পরে গ্রামবাসীরা রাস্তার উপর প্রৌঢ়ের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখেন। এবং পুলিশের খবর দেন। প্রৌঢ়ের বড় ছেলের কথায়, সুরজপাল তাঁর ভাইঝিতে ধর্ষণ করেছিল এক বছর আগে। তার পর থেকে জেলেই রয়েছে সে।
এর পর থেকে সুরজপালের পরিবারের লোকজন নির্যাতিতার পরিবারকে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় এই পরিণতি হল নির্যাতিতার দাদুর। মীরগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক সন্দীপ ত্যাগী বলেছেন, নিহতের মাথায় এবং চোখের নীচে গভীর ক্ষত ছিল। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।