রমজান মাসে হিন্দু মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে এগিয়ে এলেন এক মুসলিম পরিবার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির এক অনন্য নজির গড়ল উত্তরপ্রদেশ। করোনা কালে বাবাকে হারিয়েছেন। হটাৎ করেই বিয়ের ঠিক হয় বছর ২২ এর পুজার। সেভাবে আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় বিয়েবাড়ি ভাড়া করতে পারেনি তার পরিবার। ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসেন পড়শি এক মুসলিম পরিবার। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য নিজেদের বাড়ির উঠোন ছেড়ে দিতেও রাজী হয়েছিলেন এই মুসলিম পরিবার।
জেলার আলওয়াল এলাকার একটি ছোট বাড়িতে বাস পুজার। মামা রাজেশ চৌরাসিয়া বলেন, “টাকার অভাবে আমার ভাগ্নির পুজোর জন্য আমরা কোনও বিয়ে বাড়ি বুক করতে পারিনি। আমাদের বাড়িতেও এই ধরনের অনুষ্ঠান করার মত জায়গা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের পাশে ত্রাতার ভুমিকায় এগিয়ে আসেন পড়শি এই মুসলিম পরিবার'।
তিনি বলেন, “আমি আমার প্রতিবেশী পারভেজকে বিষয়টি জানালে তিনি কোনো দ্বিধা ছাড়াই তার বাড়ির উঠানে বিয়ের অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব দেন। এটা আমাদের কাছে এক বড় পাওনা'। এরপরই হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পুজার পরিবার। উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেয়ে বিয়ের অন্যান্য অনুষ্ঠানের কাজে হাত লাগায় কনের পরিবারবিয়ের দিন পারভেজ তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিয়ের যাবতীয় দায়িত্ব সামলেছেন। সেই সঙ্গে পুজাকে উপহার হিসাবে একটি সোনার চেন দিয়ে আর্শীবাদ করেন পারভেজ।
পারভেজের স্ত্রী নাদিরা জানান, 'পূজা এবং তার মা প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন। পূজা আমার মেয়ের মতো। তাই, যখন আমরা তার বিয়ের কথা জানতে পারি, তখন পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরা যতটুকু পেরেছি তা করার চেষ্টা করেছি। পবিত্র
রমজান মাসে বাড়ির মেয়ের বিয়ের আয়োজনের চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে,”! পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমরা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী এবং আমাদের দেবতাও ভিন্ন কিন্তু মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য আমাদের সমাজের মেয়েদের সুখ শান্তি নিশ্চিত করা, যেটা সবকিছুর আগে। আমরা শুধু সেটাই করেছি'।