New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/Hardoi-Girl-2col.jpg)
ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেনে ইউ.পি প্রধান
বিষয়টি নিয়ে অযথা রাজনৈতিক রঙ লাগানো হচ্ছে। অভিযোগ বাবার।
ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেনে ইউ.পি প্রধান
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ(Russia-Ukraine War) ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে গোটা বিশ্ব। দিন যত গড়াচ্ছে, ইউক্রেনের(Ukraine) একের পর এক শহরে আক্রম শানাচ্ছে রাশিয়া(Russia)। শক্তিশালী বোমা ও গ্রেনেড হামলায়(Grenade Attack) বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। দেশ-বিদেশের কূটনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
তারই মাঝে একটি ভিডিও সামনে এসেছে, ভিডিওটি বৈশালী যাদবের। উত্তরপ্রদেশের তেরি পুরসাউলি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তার মেডিক্যাল ডিগ্রি শেষ করতে গত ২৩ সেপ্টম্বর ইউক্রেনে যান। কারণ তিনি ইউক্রেনে তার ডাক্তারি পড়ুয়া সম্পন্ন করছেন। ভাইরাল ভিডিওতে বৈশালী দেখিয়েছিলেন কীভাবে তিনি আটকে পড়েছেন যুদ্ধের মধ্যে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে বিমানে উঠেও দেশে ফিরতে পারেননি। বাইরে ভারী বোমা বর্ষণ। এই ভিডিও সামনে আসতেই বিপত্তি। প্রধান কীভাবে ইউক্রেনে প্রশ্ন বিরোধীদের।
এদিকে পঞ্চায়েত কর্মকর্তাদের মতে বৈশালী যখন ইউক্রেনে যুদ্ধে আটকে পড়েছেন তখন তিনি তেরি পুরসাউলি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। ২২ শে ফেব্রুয়ারি, বৈশালী তার বাবা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং, সান্দির প্রাক্তন ব্লক প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, ইউক্রেনে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতে তার ফিরে আসার বিষয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বাবাকে জানান ২৪ ফেব্রুয়ারির জন্য একটি ফ্লাইটের টিকিট বুক করা হয়েছিল কিন্তু ইউক্রেনিয়ান বিমানবন্দরে একটি বিস্ফোরণের কারণে তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে আসতে পারেননি। এদিকে বৈশালীর বাবা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, মেয়ের সঙ্গে আরও ১২০ জন ছাত্র ছিল তারা দুটি বাস বুকিং করে রোমানিয়াতে এসে পৌঁছান । টুইটারে মেয়ে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিল। বিষয়টি নিয়ে অযথা রাজনৈতিক রঙ লাগানো হচ্ছে। অভিযোগ বাবার।
যে ভিডিও নিয়ে রাজনৈতিক রঙ লেগেছে তাতে দেখা গেছে ভিডিওতে বৈশালী বলেছেন, “আমরা সবাই আমাদের ফ্ল্যাটে আটকে আছি। ক্রমাগত বোমা হামলার কারণে আমরা বের হতে পারছি না। আমাদের আশা ভারত সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেবে।” এই ভিডিওর পরপরই গুজব রটে "ভুয়া বার্তা" দেওয়ার জন্য গ্রেপ্তার হতে হয়েছে তাকে। সে কখনও ইউক্রেনে উপস্থিত ছিল না।
যদিও হারদোই পুলিশ গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করেছে।কিন্তু এভাবে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে, লিখিতভাবে কারণ ব্যাখ্যা করাটা রীতির মধ্যেই পড়ে। যেহেতু বৈশালী তার নির্বাচনের এক মাসের মধ্যে চলে গেছে, তার অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।বৈশালীর বাবা জানিয়েছেন তিনি প্রতিটি সভায় থাকার চেষ্টা করতেন। না পারলেও হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইন্টারনেট কলিংয়ের মাধ্যমে সমস্যা দ্রুত সুরাহাও করতেন তিনি। যদিও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হারদোই প্রশাসন। এদিকে হারদোইয়ের জেলাশাসক জানিয়েছেন ঘটনার তদন্তের পর যথাযথা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।