Advertisment

মুসলিম ছাত্রকে মারধর: কড়া পদক্ষেপের পথে প্রশাসন, এবার পালটা মুখ খুললেন অভিযুক্ত শিক্ষিকাও

কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Yogi and UP women

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (ফাইল ছবি)। অভিযুক্ত শিক্ষিকা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি (ডানদিকে)।

উত্তরপ্রদেশে মুসলিম শিশুছাত্রের নির্যাতনে অভিযুক্ত শিক্ষিকা এবার পালটা অভিযোগ আনলেন। তাঁর অভিযোগ, গোটা ঘটনাটি তাঁর বিরুদ্ধে এক 'ষড়যন্ত্র'। তাঁকেই উলটে নির্যাতন করা হয়েছে। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের ওই বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তাঁর শ্রেণিকক্ষে শিশুদের নির্দেশ দিয়েছিলেন একজন ছাত্রকে মারধর করতে। ওই ছাত্রের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে রূঢ় কথা বলেছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। শুধু তাই নয়, 'মুসলিম শিশুদের' সম্পর্কে তিনি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার মনসুরপুর থানার খুব্বাপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisment

গোটা ঘটনায় বিরোধী দলগুলো 'ঘৃণার রাজনীতি' ছড়ানোর অভিযোগে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন যে ওই শিক্ষিকা 'নিরীহ শিশুদের মনে বৈষম্যের বিষ বপন করছেন' এবং 'স্কুলের মত একটি পবিত্র স্থানকে ঘৃণার বাজারে পরিণত করছেন।' সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব দাবি করেছেন যে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে অখিলেশ 'শিক্ষক সমাজের ওপর কলঙ্ক' বলেও অভিহিত করেছেন। ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। মুজফফরনগরের ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শনিবারই সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার সুপারিশ করেছে শিশুসুরক্ষা কমিশনও।

আরও পড়ুন- ডেঙ্গুর ভীতি কি ঘুচল, ভ্যাকসিন বাজারে আসতে আর কতদিন?

এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব অভিযোগের বিরুদ্ধে সাফাইয়ে তৃপ্তা ত্যাগী নামে অভিযুক্ত শিক্ষিকা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের গ্রামের মুসলিম পরিবারগুলোকে জিজ্ঞেস করুন যে আমি কি নিয়মিত শিশুদের এভাবে নির্যাতন করি? তাতেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমাকে বলা হয়েছিল শিশুটিকে শাসন করতে। তাই, আমি যখন ক্লাসে পড়াচ্ছিলাম, তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে তাকে যা বলা হয়েছিল সে তা শিখেছে কি না। আমি আগেই তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে সে পড়া না-করলে আমি তাকে মারব।' শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত শিক্ষিকা একটি ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে বলেছেন, 'আমাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমি আর বাঁচতে চাই না। এতে আমার মানসিক অবস্থার ভীষণ ক্ষতি হয়েছে।' তার মধ্যেও অভিযুক্ত শিক্ষিকার দাবি, তাঁর পড়ানোর ব্যাপারে যদি গ্রামের মুসলিম পরিবারগুলোকেও জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে কিন্তু তারা ভালো প্রতিক্রিয়াই জানাবে।

teacher yogi adityanath student
Advertisment