New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/09/exam-upsc-759.jpg)
যে প্রশ্নকে ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক
এই প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ ছিল দশ নম্বর। এরপরই পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা টুইট করেন।এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।
যে প্রশ্নকে ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক
ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (ইউপিএসসি) সিভিল সার্ভিস মেইন পরীক্ষার জেনারেল স্টাডিসের প্রথম পত্রের প্রশ্ন ঘিরে উত্তাল হল সোশাল মিডিয়া। ইউপিএসসি পরীক্ষায় আসা বিতর্কিত প্রশ্নটি হল এরকম, "ধর্মনিরপেক্ষতার নামে আমাদের সংস্কৃতিকে কোন কোন প্রতিকূলতার সামনে ফেলা হচ্ছে?" এই প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ ছিল দশ নম্বর। এরপরই পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা টুইট করেন।
"Indian secularism is a positive concept, taking along and encouraging all the cultural practices while instilling a scientific temper against superstitions and harmful practices.", would have been the first sentence of my answer! https://t.co/MUsCYlh0OZ
— Kannan Gopinathan (@naukarshah) September 22, 2019
পরীক্ষার্থীদের এই টুইটের পরই সোশাল মিডিয়ায় বইতে থাকে বিতর্কের ঝড়। অনেক নেটিজেনের কথায় 'সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মান পড়ে গিয়েছে'। এই বিতর্কের আগুনকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন আইএএস অফিসার কান্নান গোপীনাথন। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করার পর তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। টুইট করে কান্নান জানান যে তিনি পরিক্ষার্থী হলে এই প্রশ্নের উত্তরে কী লিখতেন।
Its irony that the UPSC finds the term "secularism" which is part of the preamble of our Constitution, as challenging to Indian Culture.#StopSaffronisingConstitutionalBodies
— Ramesh Chennithala (@chennithala) September 23, 2019
গোপীনাথান লেখেন, "ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা একটি ইতিবাচক ধারণা, যা কুসংস্কার এবং ক্ষতিকারক আচরণের বিরুদ্ধে বৈজ্ঞানিকসত্ত্বাকে জাগ্রত করে এবং দেশের সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুশীলনকে উৎসাহিতও করে। এটিই হত আমার উত্তরের প্রথম বাক্য।" অন্যদিকে, কেরালার বিরোধী নেতা রমেশ ছেন্নিথালা বলেন, ‘এটি খুবই বিদ্রূপাত্মক বিষয়। ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি আমাদের সংবিধানেরই অংশ। কিন্তু ইউপিএসসি-র প্রশ্নপত্রে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তাতে আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতিকে ক্ষুণ্ণ করেছে।"
উল্লেখ্য, ২০ তারিখ ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষাটি শুরু হয়। এই পরীক্ষা চলবে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই পরীক্ষার মধ্য দিয়েই আইএএস, আইএফএস, আইপিএস এবং আইআরএসের শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
Read the full story in English