ফের এক কৃষক আত্মঘাতী সিংঘু সীমান্তে। বুধবার সকালে ৪৫ বছরের ওই কৃষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় কৃষকদের বিক্ষোভস্থলের কাছেই একটি শপিং মলের পাশে গাছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ওই কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কৃষকের নাম গুরপ্রীত সিং। ফতেহগড় সাহিব জেলার রুরকি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক। সিধুপুরের ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন একতার সদস্য ছিলেন তিনি। সোনিপতের ডিএসপি বীরেন্দর সিং বলেছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ওই কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।
কৃষক সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক গুরজিন্দর সিং বলেছেন, সকাল ৬টা নাগাদ ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। এরপর দেহ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরজিন্দরের দাবি, "সোমবারই গ্রাম থেকে বিক্ষোভস্থলে ফেরত আসেন গুরপ্রীত। গত দুদিন ধরে অন্য কৃষকদের গুরপ্রীত জানান তিনি মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত কৃষি আইন নিয়ে। বছর ঘুরতে চলল আন্দোলনের কিন্তু সরকার আমাদের কথাই শুনছে না।"
আরও পড়ুন লখিমপুর কাণ্ডে আশিসের রাইফেল থেকেই চলেছিল গুলি, বলছে ফরেনসিক রিপোর্ট
গুরজিন্দর জানিয়েছেন, গুরপ্রীত কোনও সুইসাইড নোট রেখে যাননি। কিন্তু তাঁর বাঁ হাতে জিম্মেদার শব্দটা লেখা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গুরপ্রীতের স্ত্রী এবং ২০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বাবার মৃত্যু খবর পেয়ে সোনিপতে আসেন তিনি।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন একতার পাঞ্জাব রাজ্য সভাপতি জগজিৎ সিং দাল্লেওয়াল বলেছেন, "গুরপ্রীত প্রথম থেকেই আন্দোলনে অংশ নেন। প্রত্যেকটি কিষাণ সভায় ছিলেন তিনি। মাঝে মধ্যে গ্রামে যেতেন আবার ফেরত আসতেন। গত একবছর ধরে সিংঘু সীমান্তে আন্দোলন স্থলে রয়েছেন তিনি। সামান্য একটু চাষের জমি রয়েছে তাঁর। কিন্তু সংসার চলত না। করোনা অতিমারির আগে স্কুলভ্যান চালিয়ে রোজগার করতেন। কিন্তু এই কালা আইন তাঁর জীবন নিয়ে নিল। সরকারের অবিলম্বে এই আইন প্রত্যাহার করা উচিত।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন