Advertisment

ইউরেনিয়াম‍? কলকাতায় সন্দেহজনক রাসায়নিকসহ ধৃত ৫

উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক আদৌ ইউরেনিয়াম কিনা তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। কলকাতার কোনও ব্যক্তিকে এই রাসায়নিক সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
uranium, ইউরেনিয়াম

গায়ে লেখা ইউরেনিয়াম, কিন্তু আদৌ কি তাই?

কলকাতায় ইউরেনিয়াম উদ্ধার? এ প্রশ্নই আপাতত চিন্তায় ফেলেছে গোয়েন্দাদের। গতকাল সন্ধ্যায় গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ এলাকায় এক কেজি সন্দেহজনক রাসায়নিক-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে গুণ্ডাদমন শাখা। একটি হলুদ রঙের প্যাকেট নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় ওই পাঁচজনকে। প্যাকেট খুলতেই চোখ কপালে পুলিশের, কারণ প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হয়, উদ্ধার হওয়া বস্তুটি রাসায়নিক ইউরেনিয়াম। শুধু কী তাই, তেজস্ক্রিয় এই ধাতব বস্তু বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তবে কি কোনও নাশকতার ছক ছিল? এ সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিচ্ছে না লালবাজার, যদিও প্যাকেটে ঠিক কী আছে, তা বিধিবদ্ধ পরীক্ষার পরই জানা যাবে।

Advertisment

গতকাল গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ থেকে জাভেদ মিয়াদাঁদ, শেখ মুঘল, ইউনিস বিশ্বাস, মহম্মদ শাহজান মণ্ডল এবং বসন্ত সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত পাঁচজন প্রথমবার কলকাতায় এসেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ক্যান্সার নিরাময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ওই তেজস্ক্রিয় ধাতব তারা সরবরাহ করত বলে জেরায় দাবি করেছে তারা। উদ্ধার হওয়া রাসায়নিকের বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকা বলেও দাবি করেছে তারা, তবে ধৃতদের এহেন দাবিকে খুব একটা আমল দিচ্ছে না লালবাজার। উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক আদৌ ইউরেনিয়াম কিনা তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। কলকাতার কোনও ব্যক্তিকে এই রাসায়নিক সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন, ঈদের ছুটিকাণ্ডে লালবাজারে হাজিরা এড়ালেন রাজস্থানের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব

রাসায়নিক ছাড়াও ধৃতদের থেকে বেশ কিছু মার্কশিট এবং চাকরির ভুয়ো নিয়োগপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতরা কোনও একটি প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করছে পুলিশ। আপাতত তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। আজ পাঁচজনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জাভেদ মিয়াদাঁদ বীরভূমের বাসিন্দা। অন্যদিকে ইউনিস এবং বসন্ত সিং বহরমপুরের বাসিন্দা। শেখ মুঘল পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা এবং মহম্মদ শাজাহান মণ্ডল বাদুড়িয়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

kolkata police lalbazar
Advertisment