মার্কিন বিমান হামলা: মার্কিন সেনার মৃত্যুর বদলা হিসাবে মারাত্মক এয়ারস্ট্রাইক চালাল আমেরিকা। রিপোর্ট অনুসারে মার্কিন বিমান হামলায় প্রায় ১৮ জন ইরানি জঙ্গি নিহত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন এবং অন্যান্য শীর্ষ মার্কিন নেতারা বেশ কয়েকদিন ধরেই সেনা মৃত্যু নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দিয়ে আসছিলেন। অবশেষে ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে মার্কিন যুদ্ধবিমান।
মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলির অন্তর্গত ৮৫ টিরও বেশি ইরানি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। বিশেষ করে ইরানের কুর্দস বাহিনীকে নিশানা করে এই হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চলেছে তা বাইডেনের কথায় প্রায় স্পষ্ট হয়ে যায় আগেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জর্ডানে তার সেনাদের উপর হামলা এবং ইরাক ও সিরিয়ায় গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে। ইরাক ও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে আরেকটি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে আমেরিকা। আমেরিকান বিমান হামলায় ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া এবং ইরানের 'রেভোলিউশনারি গার্ড'-এর ৮৫টি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, আমেরিকার এই পাল্টা হামলায় প্রায় ১৮ ইরানি যোদ্ধা (সন্ত্রাসবাদী) নিহত হয়েছে।
শুক্রবার মার্কিন হামলার পর জো বাইডেন একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, 'আমেরিকা পশ্চিম এশিয়া বা বিশ্বের কোথাও সংঘাত চায় না, তবে যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের এটা জেনে রাখা উচিত, আপনি যদি কোনো আমেরিকানদের উপর হামলা চালান, আমেরিকা ছেড়ে কথা বলবে না'।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) অনুসারে, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ ইরাক ও সিরিয়ায় মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায় বাহিনী। মার্কিন সামরিক বাহিনী ৮৫ টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। যার মধ্যে অনেক বিমান সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো দূরপাল্লার বোমারু বিমান রয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, 'এটা আমাদের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের শুরু। অস্টিন বলেছেন, “আমরা পশ্চিম এশিয়া বা অন্য কোথাও সংঘাত চাই না, তবে বাইডেন এবং আমি আমেরিকান বাহিনীর উপর হামলা সহ্য করব না। আমরা আমেরিকা, আমাদের বাহিনী এবং আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত'। ইরাক মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়ে একে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।