সিরিয়ায় বড় আকারের বিমান হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। ইরান সমর্থিত একাধিক সন্ত্রাস ঘাঁটি নিশ্চিহ্ন। ইজরাইল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই সিরিয়ায় বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর আস্তানাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। পেন্টাগন বলেছে যে গত সপ্তাহের শুরুতে এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটি এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনী শুক্রবার পূর্ব সিরিয়ায় দুটি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।
যুদ্ধের মধ্যে, গত কয়েক দিনে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি রকেট ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের নির্দেশে মার্কিন সেনাবাহিনী এই অভিযান চালায়। সিরিয়া থেকে ইরান পর্যন্ত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়।পেন্টাগনের মতে, ১৭ অক্টোবর থেকে ইরানে মার্কিন সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১২ টি এবং সিরিয়ায় চারটি হামলা হয়েছে। বিমান বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পিট রাইডার বলেছেন, দুটি হামলায় ২১ জন আমেরিকান আহত হয়েছেন।
একটি বিবৃতিতে, প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের হামলা সহ্য করবে না। তিনি বলেন, অভিযানটি হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের যুদ্ধ থেকে আলাদা। অস্টিন বলেন, আমেরিকা বড় ধরনের কোন সংঘর্ষ চায় না। তবে ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী যদি তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ না করে, আমেরিকা তার সেনাবাহিনীকে রক্ষা করতে আরও বড় পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না।
এদিকে আমেরিকাকে বড় হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ানের বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘে হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণ বন্ধ না হলে আমেরিকাও এই আগুন থেকে বাঁচতে পারবে না। গাজায় গণহত্যার জন্য ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ি করেছে। তিনি বলেন, 'আমি আমেরিকাকে স্পষ্টভাবে বলছি যে আমরা এই অঞ্চলে যুদ্ধের বিস্তার চাই না। কিন্তু, গাজায় গণহত্যা চলতে থাকলে তারাও এই আগুন থেকে বাঁচতে পারবে না'।