আমেরিকা সেদেশের মাটিতে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে “হত্যার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছে” এবং “চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত থাকার ‘উদ্বেগের’ জন্য ভারত সরকারকে একটি সতর্কতা জারি করে,”। এমনটাই জানা গিয়েছে ফিনান্সিয়াল টাইমসের একটি রিপোর্ট অনুসারে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়। এবার আমেরিকার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠন করা হল উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বুধবার বলেছেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগগুলিকে খতিয়ে দেখার জন্য ভারত সরকার একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে'। তিনি আরও বলেন, 'ভারত সরকার বিষয়টির সমস্ত প্রাসঙ্গিক দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে৷ ভারত সরকার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে"।
যেহেতু বিষয়টিতে জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থ জড়িত তাই এই ধরণের বিষয়কে ভারত অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বলে এর আগে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন বাগচি। ২৩ নভেম্বর, ফিনান্সিয়াল টাইমস রিপোর্ট করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকার মাটিতে খালিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে "হত্যার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছে" এবং "চক্রান্তের সাথে জড়িত থাকার উদ্বেগের জন্য ভারত সরকারকে একটি সতর্কতা জারি করেছে।"
চলতি সপ্তাহের শুরুতে, কানাডায় ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা, একটি কানাডিয়ান টিভি চ্যানেল CTV- কে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যে 'ওয়াশিংটন পান্নুনের কথিত হত্যার চক্রান্তে "ভারতীয় সংযোগ" সম্পর্কে দিল্লির সঙ্গে বেশ কিছু নথি শেয়ার করেছে। সেগুলিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে'।
ভারত সরকার ২০২০ সালে পান্নুকে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করেছিল এবং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (UAPA) এর অধীনে তার কৃষি জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়। খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুর বিরুদ্ধে ভারতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা সহ ২০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। SFJ হল শিখদের জন্য আলাদা দেশ-খালিস্তান দাবি করা একটি সংগঠন এবং সন্ত্রাসী পান্নু ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
জুন মাসে খুন হন হারদীপ সিং নিজ্জর
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে খুন করা হয়। কানাডা সরকার নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিল। তবে ভারত সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এগুলোকে অযৌক্তিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে। এর পর দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে যায়।