শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানকে চিনের ঋণদান নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা, ভারতে আসছেন ব্লিঙ্কেন

শনিবারই ৭০ কোটি মার্কিন ডলার চিন দিচ্ছে বলে ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী।

শনিবারই ৭০ কোটি মার্কিন ডলার চিন দিচ্ছে বলে ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
US concerned

শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে চিন যে ঋণ দিচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা ভারতের প্রতিবেশী ওই দুই দেশকে ঋণ দিয়ে 'জবরদস্তি করে নানা লাভের' জন্য ওই দুই দেশকে ব্যবহার করতে পারে। মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ভারত সফরের আগে এই ব্যাপারে দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারি সচিব ডোনাল্ড লু বলেন, 'ভারতের নিকটতম প্রতিবেশীদের চিন যে ঋণ দিচ্ছে, তা নিয়ে আমেরিকা উদ্বিগ্ন। আমাদের গভীর উদ্বেগের কারণ, এই ঋণ জবরদস্তিমূলক কোনও সুবিধা আদায়ের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।'

Advertisment

ব্লিঙ্কেন ১ থেকে ৩ মার্চের মধ্যে ভারত সফরে আসছেন। লু জানিয়েছেন, আমেরিকা সেই সব দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলতে চাইছে, যারা এই অঞ্চলে স্বাধীন বিদেশনীতি নিয়ে চলছে। বহিরাগত কোনও শক্তির প্রতি যাদের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। লু বলেন, 'আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলতে চাইছি। এই অঞ্চলের সেই সব দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলতে চাইছি। জানতে চাইছি, তারা নিজেদের স্বাধীন মতামত যাতে বজায় রাখতে পারে। আর, আমরা তাতে কীভাবে সাহায্য করতে পারি!'

এর আগে শনিবার সকালের দিকে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার ঘোষণা করেন যে বোর্ড অফ চায়না ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (সিডিবি) পাকিস্তানকে ৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে লু জানিয়েছেন, চিন নিয়ে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গুরুতর আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, 'বেলুন নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পর আমরা চিন নিয়ে গুরুতর আলোচনা করেছি। আমি আশা করব, এই সংক্রান্ত কথোপকথনগুলো অব্যাহত থাকবে।'

Advertisment

আরও পড়ুন- কংগ্রেসের অধিবেশনে তাঁর রাজনৈতিক অধ্যায় সমাপ্তির ইঙ্গিত সনিয়ার?

লু জানান, কুয়াদ শুধুমাত্র কোনও সামরিক জোট নয়। তিনি বলেন, 'কুয়াদ কোনও দেশ বা গোষ্ঠীর বিরোধী না। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুক্ত বাণিজ্যের পক্ষে এই গোষ্ঠী।' ভারত আর রাশিয়ার মধ্যে সামরিক চুক্তি সম্পর্কে বলতে গিয়ে লু ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেন, 'আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সামরিক চুক্তি পালনের ব্যাপারে রাশিয়া এখন সত্যিই খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।'

pakistan china USA