উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক শহর সমরকন্দে ২২তম এসসিও শীর্ষ সম্মেলন চলছে। শুক্রবার এই সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে একটি ইতিবাচক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এবং দুজনের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধসহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। আলোচনায় পুতিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং একই সঙ্গে মোদীও ভবিষ্যতে রাশিয়া-ভারত সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন। শীর্ষ সম্মেলনের আগে, ইঙ্গিতে পুতিনকে ইউক্রেন নিয়ে একটি বড় বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর এতেই মার্কিন মিডিয়ার শিরোনামে উঠে আসেন মোদী। একাধিক মার্কিন প্রথম সারির সংবাদপত্রে পুতিনকে যুদ্ধ নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়ায় মোদীর ভূয়সী প্রশংসাও করা হয়। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ নিয়ে পুতিনকে ভর্ৎসনা করেছেন মোদী,’ এই শিরোনামে একটি খবরও প্রকাশিত হয়। এদিকে মোদীর এই কড়া অবস্থানে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, “আমি জানি ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে আপনার অবস্থান, আপনার উদ্বেগ! আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করব”।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় পুতিন জানান, “আমি ইউক্রেন সংঘাতে আপনার অবস্থান এবং উদ্বেগ সম্পর্কে অবগত। আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দ্বন্ধ শেষ হোক। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে ইউক্রেন সংকটের কারণে বিশ্বে এক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। করোনা মহামারী এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব এক নজিরবিহীন খাদ্য সংকটের সম্মুখীন। শুধু তাই নয়, সৃষ্টি হয়েছে জ্বালানি সংকটও । আর এর জন্য রাশিয়া তাদের দায় এড়িয়ে যেতে পারেনা।
আরও পড়ুন : < ৭২-এ পা মোদীর, জন্মদিনে চিতার সঙ্গে কাটাবেন খানিক সময়! >
বৈঠকে পুতিন বলেন, ভারত ও রাশিয়া একসঙ্গে কাজ করছে। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীও সেকথা মেনে নিয়ে বলেন ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী হয়েছে এবং সারা বিশ্ব আমাদের বন্ধুত্ব সম্পর্কে জানে। আমাদের বন্ধুত্ব গত ২২ বছরে ধরে আরও দৃঢ় হচ্ছে। তিনি বলেন, আজকের যুগ যুদ্ধের নয়। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বহুবার ফোনে কথাও হয়েছে মোদীর।
পুতিনের সাথে সাক্ষাতে, প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন “আমি আপনার এবং ইউক্রেনের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ যুদ্ধ- সঙ্কটে আটকে পড়া আমাদের হাজার হাজার পড়ুয়াকে আমরা বের করে আনতে পেরেছি। তিনি বলেন যে আজ বিশ্ব অনেক বড় সমস্যার মুখোমুখি, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য, যার মধ্যে রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানী নিরাপত্তা, আমাদের তাদের মোকাবেলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আগামী বছর এসসিও শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য পুতিন ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর আগে, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও ২০২৩ সালের SCO শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ভারতের সভাপতিত্বকে সমর্থন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: < রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের আবহে ‘বিশ্বশান্তির বার্তা’, নজর কাড়া পুজোর থিমে খাস কলকাতায় সেরা চমক! >
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিনের বৈঠকে বলেন, “রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব ক্রমাগত বাড়ছে এবং আমাদের সম্পর্ক আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হবে। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে শান্তির পথে এগিয়ে যেতে হবে। রাশিয়া ভারতকে সস্তায় তেল সরবরাহ করছে এই নিয়ে ভারতকে আমেরিকা ও পশ্চিমী দেশগুলো টার্গেট করছে। চিনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থানে আমেরিকা ভারতকে বন্ধু মনে করলেও রাশিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্ব আমেরিকার একেবারেই নাপসন্দ! ইউক্রেনের যুদ্ধ ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বে সংকট তৈরি করেছে।
শান্তির বার্তা দিয়ে যুদ্ধ নিয়ে পুতিনকে কড়া বার্তা, মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মার্কিন মিডিয়া
পুতিনকে কড়া বার্তা দিয়েও বন্ধুত্বের কথা মনে করিয়ে কুটনৈতিক ভাবে বিশ্বের দরবারে ভারতের প্রংশসা অর্জন।
Follow Us
উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক শহর সমরকন্দে ২২তম এসসিও শীর্ষ সম্মেলন চলছে। শুক্রবার এই সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে একটি ইতিবাচক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এবং দুজনের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধসহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। আলোচনায় পুতিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং একই সঙ্গে মোদীও ভবিষ্যতে রাশিয়া-ভারত সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন। শীর্ষ সম্মেলনের আগে, ইঙ্গিতে পুতিনকে ইউক্রেন নিয়ে একটি বড় বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর এতেই মার্কিন মিডিয়ার শিরোনামে উঠে আসেন মোদী। একাধিক মার্কিন প্রথম সারির সংবাদপত্রে পুতিনকে যুদ্ধ নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়ায় মোদীর ভূয়সী প্রশংসাও করা হয়। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ নিয়ে পুতিনকে ভর্ৎসনা করেছেন মোদী,’ এই শিরোনামে একটি খবরও প্রকাশিত হয়। এদিকে মোদীর এই কড়া অবস্থানে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, “আমি জানি ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে আপনার অবস্থান, আপনার উদ্বেগ! আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করব”।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় পুতিন জানান, “আমি ইউক্রেন সংঘাতে আপনার অবস্থান এবং উদ্বেগ সম্পর্কে অবগত। আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দ্বন্ধ শেষ হোক। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে ইউক্রেন সংকটের কারণে বিশ্বে এক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। করোনা মহামারী এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব এক নজিরবিহীন খাদ্য সংকটের সম্মুখীন। শুধু তাই নয়, সৃষ্টি হয়েছে জ্বালানি সংকটও । আর এর জন্য রাশিয়া তাদের দায় এড়িয়ে যেতে পারেনা।
আরও পড়ুন : < ৭২-এ পা মোদীর, জন্মদিনে চিতার সঙ্গে কাটাবেন খানিক সময়! >
বৈঠকে পুতিন বলেন, ভারত ও রাশিয়া একসঙ্গে কাজ করছে। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীও সেকথা মেনে নিয়ে বলেন ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী হয়েছে এবং সারা বিশ্ব আমাদের বন্ধুত্ব সম্পর্কে জানে। আমাদের বন্ধুত্ব গত ২২ বছরে ধরে আরও দৃঢ় হচ্ছে। তিনি বলেন, আজকের যুগ যুদ্ধের নয়। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বহুবার ফোনে কথাও হয়েছে মোদীর।
পুতিনের সাথে সাক্ষাতে, প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন “আমি আপনার এবং ইউক্রেনের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ যুদ্ধ- সঙ্কটে আটকে পড়া আমাদের হাজার হাজার পড়ুয়াকে আমরা বের করে আনতে পেরেছি। তিনি বলেন যে আজ বিশ্ব অনেক বড় সমস্যার মুখোমুখি, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য, যার মধ্যে রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানী নিরাপত্তা, আমাদের তাদের মোকাবেলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আগামী বছর এসসিও শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য পুতিন ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর আগে, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও ২০২৩ সালের SCO শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ভারতের সভাপতিত্বকে সমর্থন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: < রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের আবহে ‘বিশ্বশান্তির বার্তা’, নজর কাড়া পুজোর থিমে খাস কলকাতায় সেরা চমক! >
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিনের বৈঠকে বলেন, “রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব ক্রমাগত বাড়ছে এবং আমাদের সম্পর্ক আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হবে। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে শান্তির পথে এগিয়ে যেতে হবে। রাশিয়া ভারতকে সস্তায় তেল সরবরাহ করছে এই নিয়ে ভারতকে আমেরিকা ও পশ্চিমী দেশগুলো টার্গেট করছে। চিনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থানে আমেরিকা ভারতকে বন্ধু মনে করলেও রাশিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্ব আমেরিকার একেবারেই নাপসন্দ! ইউক্রেনের যুদ্ধ ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বে সংকট তৈরি করেছে।